পুলিশের কোনো সদস্য অপরাধে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ভালো কাজ করলে আপনাদের পাশে থাকব। কিন্তু কোনো ধরনের অপকর্মে জড়িত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার রাজারবাগে অক্টোবর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপি কমিশনার একথা বলেন। এসময় পুলিশিসেবার মান নিশ্চিত করতে থানা ও ট্রাফিক পুলিশকে আরও স্বচ্ছতা বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি।
পুলিশকে নিজের কাজের মাধ্যমেই জনগণের প্রশংসা অর্জন করতে হবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে নগরবাসীর জন্য কাঙ্খিত সেবার মান আরও বাড়াতে হবে। মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে ঘটনাস্থল সংরক্ষণ ও আলামত সংগ্রহ করতে হবে। পেশাদার অপরাধীরা যাতে বারবার অপরাধ করতে না পারে সেজন্য নজরদারী বাড়াতে হবে।’ সেবাপ্রার্থী কিংবা কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যাতে পুলিশি হয়রানির শিকার না হন সেজন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়ানোর আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, অপরাধীরা ঢাকা মহানগরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য আমাদের সকলকে সর্তক থাকতে হবে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, মামলা তদন্ত, চোরাই গাড়ি উদ্ধার, মাদক উদ্ধার ও মূলতবি মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বারোপ করতে হবে।’
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভার শুরুতেই গত অক্টোবর মাসের খাতওয়ারী অপরাধ বিবরণী পর্যালোচনা করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা তথা অপরাধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
সভায় ঢাকা মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসারদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
অক্টোবর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুজিব আহম্মেদ পাটওয়ারী। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহা. আহাদ আলী। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস্) মধ্যে প্রথম হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) মো. তোফাজ্জল হোসেন।