Tuesday , 16 April 2024
শিরোনাম

অপরুপ সৌন্দর্যের কর্ণফুলী নদীর তীর ফিরে দেখা ইতিহাস ।

চাইথোয়াইমং মারমা রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ পাহাড় পর্বত নদী খাল বিল অপরুপ সৌন্দর্যের এক লীলা ভূমি রাঙ্গামাটি জেলা চন্দ্রঘোনা এলাকায় অবস্থিত কর্ণফুলী তীর এশিয়া বৃহত্তম কাগজ কলকারখানা নিয়ে বিস্তৃত এই কর্ণফুলী নদীর অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিবেশ দৃশ্যমান দেখা যায়। এ কর্ণফুলী নদীর তীরে বিভিন্ন পশুপাখি বক পাখি সালিক পাখি ডাভ ছোট ছোট বন্য হাঁস দেখা মিলে। এ নদী আঁকা বাঁকা হয়ে চলে গেছে,কাপ্তাই বাঁধ মুখী পর্যন্ত সংযোগস্থল রয়েছে। এ নদীর পানি ভারতে মিজোরাম লুসাই পাহাড় একই সংযোগ কেন্দ্র বিন্দুস্থল। নদীর তীর ধারে চির সবুজ ঘেরা বিভিন্ন প্রজাতি গাছ গাছরা প্রকৃতি সৌন্দর্য দৃশ্যমান রুপ দেখবে। এ প্রকৃতি সৌন্দর্য দৃশ্যমান রুপ দেখে কিছু টা হলে মনের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে মনকে শান্তনা দিয়ে কিছু তা হলে ও ইনজয় বিমুক্ত হবে সকলে। এখানে নদীর ধারে ছোট বড় নৌকাসহ ইঞ্জিন বোট চলাচর দেখা যাবে। জেলেরা ছোট নৌকা করে মাছ স্বীকার করে জীবিকা নির্বাহ করছে। উল্লেখ্য,পার্বত্য চট্রগ্রামের ১৩ ক্ষুদ্র জাতি পাহাড়ি সহজ সরল জনগোষ্ঠীর বসবাস করছে। এখানে যার যার নিজস্ব ভাষা ধর্ম সংস্কৃতির ঐহিহ্য ইতিহাস জড়িয়ে আছে।

 

আমরা সকলে জন্ম সূত্রে বাংলাদেশী নাগরিক বিশ্ব জুড়ে পরিচিত লাভ করে থাকে। যার যার ধর্মের উৎসব স্বাধীনতা ভাবে পালন করে থাকি। পাহাড়ের উঁচু নিচু পরিবেশ অধিকাংশ ক্ষুদ্র পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আবাস্থল গ্রামে বসবাস দেখা যাবে। প্রায় অধিকাংশ পাহাড়ের জুম চাষের নির্ভশীল পরিবার সংখ্যা বেশি মিলে। পাকিস্তান সরকার ১৯৫৬ সালে আমেরিকার অর্থায়নে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ শুরু করে। ১৯৬২ সালে এর নির্মাণ শেষ হয়। ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং ইউতাহ ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেট ৬৭০.৬ মিটার (২,২০০ ফু) দীর্ঘ ও ৫৪.৭ মিটার (১৭৯ ফু) উচ্চতার এ বাঁধটি নির্মাণ করে।পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসভূমি থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর প্রায় ৪০ হাজার চাকমা/ ক্ষুদ্র বিভিন্ন পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অধিবাসী ভারতের অরুণাচল প্রদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেন। এই শরণার্থীদের ‘পরিবেশগত কারণে সৃষ্ট শরণার্থী’ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই মানুষগুলো এখন রাষ্ট্রহীন। ভারত, বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তান কোন দেশেরই নাগরিকত্ব নেই এই অভাগাদের। বর্তমান দিনে কাপ্তাই বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ফলে কর্ণফুলির সমতলে চাষিরা লাভবান হয়েছে, মাছ চাষ এবং পর্যটন-বিনোদনের ক্ষেত্রেও এই অঞ্চলটি অনেক সমাদর পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় যে লক্ষাধিক গরিব আদিবাসী মানুষগুলোর নিজেদের বাসভূমি, দেশ, স্বজন হারানোর কান্না রয়ে গিয়েছে।

 

সেগুলো কি এত সহজে মুছে ফেলা যাবে!কাপ্তাই বাঁধটি প্রধানত মাটি ভরাটের মাধ্যমে তৈরি হয় যা দৈর্ঘ্যে ৬৭০ মিটার ও প্রশস্তে ৪৫.৭ মিটার চওড়া। ১৯৬২ সালের ৩০শে মার্চ যখন এই বাঁধটির প্রাথমিক কাজ শেষ হয় তখন এর মোট উতপাদিত বিদ্যুৎতের পরিমান ছিল ৮০ মেগাওয়াট যা বর্তমানে ৫ টি বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট ও মোট ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎতে এসে দাঁড়িয়েছে। এলাকার বেশিরভাগ বাসিন্দারাই ছিলেন গরিব আদিবাসী। এই বাঁধ নির্মাণের সময় যে ১ লাখ মানুষকে বাসভূমি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল পুনর্বাসনের কোনরকম ব্যবস্থা ছাড়াই। শুধু তাই নয় তাদের মতামত নেওয়া তো দুরস্ত, তাদের একপ্রকার জোর করেই ওই এলাকা থেকে তাড়ানো হয়। ফলে একপ্রকার জোর করেই মানুষগুলোর খাদ্য সংস্থানের ব্যবস্থা চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। গবেষণায় দেখা যায় যখন বাঁধের কাজ শুরু হয় তখন কিছু মানুষকে কাংসাল উপত্যকায় নিয়ে আসা হয় ও বসবাস উপযোগ্য জায়গা দেওয়া হয়। কিন্তু ১৯৬২ সালে বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার পর এই অঞ্চলটিও প্লাবিত হয়। এরপর তখনকার পাকিস্তান সরকার আর তাদের কোনোরকম পুর্নবাসনের ব্যাবস্থা নেয়নি।

Check Also

‘মোদির গ্যারান্টি’তে বিজেপির ইশতেহার

সামনেই ভারতের লোকসভা নির্বাচন। চলতি মাসের ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত চলবে ভোটভুটির আয়োজন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x