সারাদেশের সব অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে সোমবার থেকে অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।
তিনি বলেন, ৩ মাস সময় দেয়ার পরেও যারা অনুমোদন নেয়নি তাদের আর সুযোগ দেয়া হবে না। সেবার মানের উপর ভিত্তি করে বেসরকারি হাসপাতালের তিনটি ক্যাটাগরি করার পরিকল্পনা চলছে বলে জানান তিনি। এর আগে ২৬ মে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারা দেশের সব অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নির্দেশনার পর স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সারা দেশে অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত আড়াই মাসে সারা দেশে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৬৪১টি অবৈধ হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করা হয়েছে। একই সময়ে নতুন রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এসেছে ১ হাজার ১০৩টি প্রতিষ্ঠান এবং লাইসেন্স পুনর্নবায়ন করেছে ২ হাজার ১৮১টি প্রতিষ্ঠান। নতুন লাইসেন্সের জন্য ২ হাজার ৩৩৯টি আবেদন জমা পড়েছে। লাইসেন্স পুনর্নবায়নের জন্য ৪ হাজার ৫৯৮টি আবেদন জমা পড়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন আছে অথচ প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সব শর্ত মানছে না, পরিস্থিতির উন্নতি করার জন্য তাদের তিন মাস সময় দিয়েছিল স্বাস্থ্যঅধিদপ্তর। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা নিয়ম মেনে লাইসেন্স পুনর্নবায়ন বা নতুন লাইনসেন্স নেয়নি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই অভিযান চালানো হবে। দেশে এখন অনলাইনে নিবন্ধন করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৪৩।