চরম গরমে জনজীবন দুর্বিষহ। সহসা বৃষ্টিরও দেখা নেই। এর মধ্যে নতুন তথ্য জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ূ গবেষক মোস্তফা কামাল পশাল। তিনি বলেন, ৬ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোর, ঝিনাইদহ, রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে।
আবহাওয়া বিষয়ক তথ্য শেয়ারকারী ওয়েবসাইটে তিনি একথা বলেন। এতে আরো বলা হয়, আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া অন্যান্য বিভাগে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। এ সময়ের মধ্যে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে।
আগামী ১৫ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোস্তফা কামাল পশাল।
এদিকে রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। সামান্য পরিশ্রমেই ঘাম হচ্ছে, ঘাম হলেও তা শুকাচ্ছে না। তাপপ্রবাহের সঙ্গে এ অস্বস্তিবোধও অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গলবার (৬ জুন) সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি।
অন্যদিকে মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী ও পাবনা জেলার উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসমূহ এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে।