দীর্ঘ লড়াই শেষে ২০ নভেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ১ নভেম্বরে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ঐন্দ্রিলার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি কোমায় চলে যান। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় কিন্তু আর জ্ঞান ফেরেনি তার। হাসপাতালে মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে অভিনেত্রীর বেশ কয়েকবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এরপর থেকে পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে। এ সময় তার বাবা-মা ও পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য হাসপাতালে ছিলেন।
রোববার সকালে ঐ
গত ১৪ নভেম্বর থেকে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হৃদযন্ত্র বারবার থেমে যাচ্ছিল। শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাত থেকে তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা শুরু হয় বলে জানায় হাসপাতাল সূত্র। এই ধাক্কা সামলাতে পারেননি ঐন্দ্রিলা।
অতীতে দুইবার ক্যান্সার ধরা পড়ার পরও ঐন্দ্রিলা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। ২০১৫ সালে একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় তিনি প্রথমবারের মতো ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ক্যান্সার তার অস্থিমজ্জায় আক্রমণ করেছিল।
২০২১ সালে ফুসফুসে টিউমার হয় তার। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি তার অভিনয়ের কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন তিনি।
ন্দ্রিলার মা জানান, মেয়েটা মোটেও ভালো নেই। ১ নভেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর, ঐন্দ্রিলার লড়াই যত দিন যাচ্ছে ততই কঠিন হয়ে উঠেছে।