#শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং আমেরিকা মহাদেশের অন্যান্য নেতারা দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী এবং শরণার্থীদের জায়গা দেয়ার জন্য একটি রোডম্যাপের প্রস্তাব তুলে ধরতে প্রস্তুত।
“দ্য লস অ্যাঞ্জেলস ডিক্লেয়ারেশন” সম্ভত সামিট অফ আমেরিকাস-এর সবচেয়ে বড় অর্জন। বাইডেনের আমন্ত্রণ তালিকা নিয়ে মতপার্থক্যের কারণে সম্মেলনে আমন্ত্রিত দেশের সংখ্যা কমানো হয়। কিউবা, নিকারাগুয়া এবং ভেনিজুয়েলাকে যুক্তরাষ্ট্র এ সম্মেলন থেকে বাদ দেয়ার পরে মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশের নেতারা তাদের শীর্ষ কূটনীতিকদের এ সম্মেলনে পাঠিয়েছেন।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় যুক্তরাষ্ট্রের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন শুক্রবারে যে সব নীতি ঘওষণা করা হবে তার মধ্যে রয়েছে দেশগুলোতে প্রবেশের বৈধ উপায়, অভিবাসনের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়কে সহায়তা, মানবিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সমন্বিত জরুরি প্রতিক্রিয়া।
এটি একটি নীল নকশা যা ইতোমধ্যে কলম্বিয়া এবং ইকুয়েডরে বহুলাংশে অনুসরণ করা হয়েছে। দেশ দুটির ডানপন্থী নেতারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভেনেজুয়েলা ছেড়ে যাওয়া ৬০ লাখ মানুষের অনেককে স্বাগত জানিয়েছে। এর জন্য শীর্ষ সম্মেলনে দেশ দুটিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
২০১৭ সাল থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য হলো যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তা বাইডেন ও তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বারাক ওবামার জন্য কঠিন অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
এই প্রস্তাবের মাধ্যমে দেশগুলো অবৈধ অভিবাসনের কারণ খুঁজে বের করে তার সমাধান করবে। বেকারত্ব, অনিরাপত্তাসহ যাবতীয় বিষয়গুলো একসঙ্গে সমাধান করা হবে। এছাড়া বৈধভাবে অভিবাসনের পথগুলো প্রশস্ত করা ও প্রচারণা চালানো হবে।