শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, অর্থনীতি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকার কঠিন ও সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘অশ্রুঝরা আগস্টে শোকসঞ্জাত শক্তির অন্বেষা’ শীর্ষক সেমিনারে সাম্প্রতিক সময়ে তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশে যখন লঙ্গরখানা খোলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের এক তৃতীয়াংশ মানুষ দরিদ্র হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে সেই প্রেক্ষিতে সরকার এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ নিয়ে যারা আন্দোলন করছে তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ও উৎপাদন করতে পারেনি।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে মূলত বঙ্গবন্ধুর আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তায় বিশ্ব মোড়লরা থ্রেট ফিল করেছিল এবং মুজিবকে ভয় থেকে মুজিবের বংশকে ভয়। তাই বিশ্ব মোড়ল ও তাদের এ দেশীয় দালালরা তাকে নির্বংশ করার জন্য তাকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জয় বাংলাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ চালু করা হয়েছিল। পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ চালু করেছিল। শেখ রাসেল ছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষের চরিত্রে কালিমা লেপন করেছিল।
মন্ত্রী বলেন. ইতোমধ্যে আমরা শোককে শক্তিতে রূপান্তর করেছি। সেখান থেকে জাগরণ হয়েছে। সে জাগরণের ফলে বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলামিস্ট ও সিনিয়র সাংবাদিক বিভু রঞ্জন সরকার।