মো: মমিন হোসেন, স্টাফ রির্পোটার :
টাঙ্গাইল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের অলোয়া বরটিয়া গ্রামে নিজ জমির মালিকানা পেতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার। শুক্রবার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টায় ঘন্টাব্যাপী চলা কর্মসূচিতে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যসহ শতাধিক স্থানীয় জনগন উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, নার্গিস আক্তার, শাহআলম, আব্দুর রাজ্জাক, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: ফারুক হোসেন, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হাজেরা বেগম প্রমুখ।
কর্মসূচিতে স্থানীয় আকরাম হোসেন, মমিন হোসেন, করিম মিয়া, বানিজ মিয়া, আক্তার হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
জমির মালিক নার্গির আক্তার জানান, তিনি দাদার কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। এখন জমি বিক্রি করতে চাইলে সোহেল ক্রেতাদের বলে জমি তাদের ওই জমি বিক্রি হবে না। নার্গিস আক্তার আরো বলেন, দলিল ও যথাযথ কাগজপত্রাধি থাকা সত্তে¡ও জমি দখলে যেতে পারছি না।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: ফারুক হোসেন বলেন, ইতিপূর্বেও জমি অনেক বার পরিমাপ করা হলেও কোন সমাধান না হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার পৌরসভায় অভিযোগ দিতে বাধ্য হন। বিবাদীদের বার বার বসার কথা বলা হলেও তারা কোন নিয়ম তোয়াক্কা করে না। সোহেল রানার দুই ভাইয়ের সাথে ফোনে কথা হলে তারা ২৫-৩০ দিনের সময় নিয়ে তা অতিবাহিত করেছেন।
কাউন্সিলর আরো বলেন, তিনি উপস্থিত থাকা অবস্থায় ঈদ-আযহার দ্বিতীয় দিনে বিবাদী সোহেল রানা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে নার্সির আক্তার ও শাহআলমকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন।
জানাযায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের অলোয়া বরটিয়া মৌজার দাগনং ২০৯, খতিয়ান ১০৬৯, ৩ (তিন) শতাংশ জমির মালিক নার্গির আক্তার ও একই মৌজার দাগনং ২১১, খতিয়ান নং ২২৩, ১৪ শতাংশ জমির মালিক শাহআলম (শাহীন)।
১৯৯৯ সালের ১১ মে দেবেন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে কার্তিক চন্দ্র দাসের নিকট হতে জমি ক্রয় করেন শাহআলম (শাহীন)।
উল্লেখ্য, পৌরসভার এক নোটিশে সর্বসম্মতিক্রমে গত ৩-৮-২০২২ইং তারিখ বুধবার সকাল ৯টার সময় ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: ফারুক হোসেন ও মহিলা কাউন্সিলর খালেদকার আক্তার স্বপ্না’র উপস্থিতিতে জমি পরিমাপের দিন ধার্য্য করা হলেও বিবাদীগণ অনুপস্থিত থাকায় জমি পরিমাপের কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়।
ভূক্তভোগী জমির মালিকরা আরো জানান, বিবাদী সোহেল রানা তাদের জমি বার বার বুঝিয়ে দিতে চাইলেও জমি পরিমাপের দিন অজ্ঞাত কারণে অনুপস্থিত থাকেন।
এছাড়াও বিবাদীর পিতা মুক্তিযোদ্ধা ও দুই ভাই পুলিশে চাকরি করায় তাদের সবসময় হুমকি প্রদান করেন থাকেন। এমনতাবস্থায় ভূক্তভোগী জমির মালিকরা প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।