লক্ষ্য মাত্র ৮৪ রান, হাতে আছে আরও দু’দিন। মামুলি এই লক্ষ্য নিয়ে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলবে এমন ভাবাটাও আশ্চর্যের। বাংলাদেশও পারেনি। চতুর্থদিন শুরুর আধঘণ্টার আগেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফলও হয়ে গেলো। ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
টাইগাররা ফের ডুবল ব্যাটিং ব্যর্থতায়। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল, এরপর থেকে একের পর এক সিরিজে হেরেই চলেছে বাংলাদেশ। তৃতীয়বারের মতো টেস্ট নেতৃত্বে ফেরা সাকিবের শুরুটাও হলো ভুলে যাওয়ার মতোন।
যে ভয় নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাওয়া তার থেকে বেরোতে পারল না বাংলাদেশ। চার বছর আগে অ্যান্টিগার মাটিতে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল টাইগাররা। তার সাক্ষী ছিলেন তামিম, সাকিব, মুমিনুল। এবারও যখন প্রথম ইনিংস শুরু করলেন তারা, সেই আগের ভূতের তাড়া, শেষ পর্যন্ত সাকিবের ফিফটিতে কোনোভাবে ১০৩ রান।
ক্যারিবিয়ানরা প্রথম ইনিংসে থামে ২৬৫ রানে। স্বাগতিকদের বেশিদূর এগোতে না দেওয়ার কৃতিত্ব মিরাজের। অবশ্য ব্যাটিংয়ের পর ক্যাচ মিসের মহড়াও ভুগিয়েছে সফরকারীদের। দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগে বাংলাদেশ পরিকল্পনা করেছিল লড়াই পঞ্চমদিনে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু তৃতীয়দিনেই সবশেষ। এবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা টপ-অর্ডারদের। এবারও সাকিবের লড়াকুর ফিফটি। তার সঙ্গে সোহানের লড়াইয়ে ২৪৫ রান।
দুজনের ১২৩ রানের জুটি বাংলাদেশকে এনে দেয় লিড। তবে মামুলি লক্ষ্য নিয়েই একজনই লড়াই চালিয়ে গেলেন। তৃতীয়দিন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা উইন্ডিজ দলীয় রানে হারায় ৩ উইকেট। টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের চাপে ফেলে দেন পেসার খালেদ।
তবে এরপর কোনো জাদু দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। চাপ সামাল দিয়ে উইন্ডিজকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অধিনায়ক-ওপেনার ব্রাথওয়েট ও ব্ল্যাকউড। চতুর্থদিন জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল ৩৫ রান। তার জন্য মাত্র ৭ ওভারই লাগল ক্যারিবিয়ানদের। তার মধ্যে ফিফটি করেন ব্রাথওয়েট।
দুই ইনিংসে মোট ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন চোট কাটিয়ে দলে ফেরা কেমার রোচ। মজার বিষয় হলো, ২০১৮ সালের অ্যান্টিগা টেস্টেও ম্যাচ সেরা হন তিনি। সেবার প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন উইন্ডিজ পেসার। এবার ফাইফার পেলেন দ্বিতীয় ইনিংসে।