ইয়াছির আরাফাত, স্টাফ রিপোর্টার।। প্রকৌশলীদের পেশাগত উন্নয়ন ও প্রকৌশল খাতে সংস্কার” এর বিষয়ে আইইবি কর্তৃক প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)।
শুক্রবার (২ মে) গণমাধ্যমকে পাঠানো আইইডিবি এর সদস্য সচিব প্রকৌ. কাজী সাখাওয়াত হোসেন এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ০২ মে ২০২৫, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক প্রতিনিধি ও ছাত্র প্রতিনিধিদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইডিইবি’র আহ্বায়ক প্রকৌ. মোঃ কবীর হোসেন-এর সভাপতিত্বে ও প্রকৌ, কাজী সাখাওয়াত হোসেন-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় আইডিইবি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি, টিএসসি, ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষক প্রতিনিধি সহ ছাত্র প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)’র (স্মারক নং- সদ/আইইবি/জি/প্রেসবিঃ/২০২৫/১১৪৬, তারিখ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫) প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা এবং প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। আলোচনায় উল্লেখ হয়- ১৯৭৮ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মারক নং- MF(ID)-II/I(G)-7/78 (pt)/869 Dated: 31-07-1978 এর মাধ্যমে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর পদ মর্যাদা প্রদান করেন। পরবর্তীতের ১৯৯৪ সালে স্মারক নং সম (বিধি-২) পদোন্নতি-২৭/১৪-১৬৪ তারিখ: ১৯-১১-১৯৯৪ এর মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২য় শ্রেণির পদ মর্যাদা প্রদান ও বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ করেন।
আইইবি কর্তৃক প্রচারিত ধারণাটি যে, শুধুমাত্র গ্র্যাজুয়েট প্রকৌশলীরাই প্রকৌশল পেশার “মূলধারার” সদস্য এমন বক্তব্য অতীতের মতোই বিভেদ সৃষ্টিকারী। অথচ বাস্তবতা হলো, দেশের অবকাঠামো, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, রেলপথ, বিদ্যুৎ, পানি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক ও জনপথ, সিটি কর্পোরেশনসহ প্রায় সব দপ্তরে মাঠপর্যায়ের প্রকৌশল কার্যক্রমের প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। তাঁদের অস্বীকার করা ওপনিবেশিক হীনমন্নতারও বহিঃপ্রকাশ। দীর্ঘদিনের স্বীকৃত ব্যবস্থাকে অস্বীকার করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নির্ধারিত ৯ম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে চাকরি করার মানসিকতা হিনমন্যতা, শ্রেণিবিদ্বেষ, দেশে সম্পদের ও মেধার অপচয়।
সর্বোপরি একটি মিমাংশিত বিষয় নিয়ে আইইবি নতুন করে উত্থাপন করে বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল ও প্রকৌশল অঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টির পায়তারা করছে মর্মে আলোচনায় অংশগ্রহনকারী নেতৃবৃন্দ মনে করেন। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের পেশাগত উন্নয়ন কেবল তাদের অধিকারই নয়, বরং জাতীয় উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। একটি সুষ্ঠু ও মর্যাদাপূর্ণ পেশাগত পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সভা থেকে আইইবি কর্তৃক প্রদত্ত একপাক্ষিক, অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতির তীব্র নিন্ধা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং একইসাথে আইইবি’র প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানানো হয়।