সিলেট থেকে আজ বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকালে সিলেটে এসে তিনি হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরান (র.) এর মাজার জিয়ারত করবেন। এরপর দুপুরে নগরের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট আগমনকে কেন্দ্র করে চাঙা হয়ে ওঠেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সফরকে সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ-সংগঠনগুলো। ব্যানার-ফেস্টুন-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগর। বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে তোড়ন। চলছে দফায় দফায় সভা ও প্রচার মিছিল। সবমিলিয়ে শেখ হাসিনার প্রথম নির্বাচনী জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত করার লক্ষ্য আওয়ামী লীগ নেতাদের। জনসভায় ১০ লাখ লোক সমাগমের আশা করা হচ্ছে। নৌকার আদলে তৈরি করা হচ্ছে সভামঞ্চ। এই সমাবেশের মাধ্যমে দেশজুড়ে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্য দলটির।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করার ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন শেখ হাসিনা। বিকেল ৩টায় রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়িতে ভার্চ্যুয়ালি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বরিশাল সফর করবেন। ওই দিন বিকেল ৩টায় বরিশাল জেলা সদরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
পরদিন ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী যাবেন নিজ জেলা গোপালগঞ্জ, এরপর মাদারীপুরে। ওই দিন প্রথমে তিনি নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ নির্বাচনী এলাকায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন। এরপর মাদারীপুর-৩ আসনের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া ওরফে গোলাপ।