এম,এ,রাজ্জাক, বিশেষ প্রতিনিধি।
আজ (২১ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে সিএনআই নিউজ টুয়েন্টিফোরের কার্যালয়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও সমাজসেবায় অবদানের প্রতীক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন মুন্সি’র ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
বাদ আসর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন তেলওয়াত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মরহুমের একমাত্র সন্তান ও সিএনআই নিউজের প্রধান সম্পাদক তোফায়েল হোসেন তোফাসানি, এটিএন বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক শেখ বাশার, বিশিষ্ট সমাজসেবক সবুর খান, সাভার উপজেলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান ইমন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক চঞ্চল খান, সিএনআই নিউজের বার্তা সম্পাদক রোমানা রুমি, মরহুমের নাতি ও চিফ রিপোর্টার সাব্বির হোসেন, নিউজ ডেস্ক এডিটর সীমা জাহান, অফিস ইনচার্জ সজিব মিয়াসহ অনেকে।
দোয়া মাহফিলের আগে মরহুমের জীবনাদর্শ সম্পর্কে আলোচনা করেন বক্তারা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে বার্ধক্য জণিত কারণে আনোয়ার হোসেন মুন্সি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকে চলে যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ততা , জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে সুনাম অর্জন করা, বিনামূল্যে এবং নামমাত্র মূল্যে মানুষকে দুরারোগ্য চিকিৎসা দেয়া। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উড়ানো এবং পতাকাকে সালাম প্রদর্শন করা, পূর্ব পাকিস্থান আমলে আনসার বাহিনী প্রতিষ্ঠালগ্নের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রশিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করাসহ অনেক ইতিহাস ছিল আনোয়ার হোসেন মুন্সির। তিনি পৃথিবীর আলো বাতাসে বেঁচে ছিলেন শতাধিক বছর। দেখেছেন, বৃটিশ, পূর্ব পাকিস্তান, বাংলাদেশের সময়কাল।
তার জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কায়েদা আজম জিন্নাহ, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী, মার্শাল ল এডমিনেস্ট্রেটটর আইয়ুব খান, জিয়াউর রহমান, হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদসহ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি প্রদত্ত সনদ অর্জন করেছিলেন আনোয়ার হোসেন মুন্সি।