দেশের চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। তারা বলছেন, এখন সিদ্ধান্ত রাজপথ থেকেই আসবে।
শনিবার (৩ জুলাই) পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না।
প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব দেয়ার পরপরই বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘ছাত্র-জনতার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এক দফা এখন সার্বজীনন। এর বাইরে আর কোন আলাপ নেই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব সম্মিলিত একটি নিউজ কার্ড শেয়ার দিয়ে বলেছেন, ‘যখন আমরা ডিবি অফিসে বন্দি ছিলাম তখনই প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে আন্দোলন স্থগিত করতে বলা হয়। এমনকি জোর করে গণভবনে নিয়া যাওয়ার পরিকল্পনাও চলছিল। এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে আমরা অনশনে বসেছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘আপসহীনতার মূল্য যদি মৃত্যুও হয় তা-ও পরিশোধ করতে প্রস্তুত আছি। ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ আহ্বান করছি।’
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারও আলোচনায় বসার সম্ভাবনার কথা নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, এখন আর আলোচনার সুযোগ নেই। সিদ্ধান্ত রাজপথ থেকেই আসবে।
আবু বাকের বলেন, নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার, দায়ীদের পদত্যাগ ও আটক এবং গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন চলমান আছে।