ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো। তার ভক্তের সংখ্যাও কম না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চরিত্রে তার অভিনীত নাটক ভক্তদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অভিনয় দিয়ে দেশের বাহিরেও ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এই অভিনেতা। যার সবশেষ উদাহরনের দেখা মিলেছে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। নিজের জন্মদিন উপলক্ষে ওপার বাংলার ভক্তদের মনের আশা পূরণ করেছিলেন তিনি। ভিডিও কলে ভক্তদের সময় দিয়েছিলেন নিশো। ওপার বাংলা থেকে ভিডিও কলে যুক্ত ছিলেন- রূপসা চ্যাটার্জি, সোহম চক্রবর্তী, দীপ্তি মুখার্জি, অ্যানজেলা প্রমুখ। তাদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা আড্ডা দেন আফরান নিশো
নিশোর জন্মদিনে রূপসা চ্যাটার্জি নামের এক ভক্ত তাঁর হাতে নিশোর নামে ট্যাটু করেছিলেন। আড্ডার সময় ভিডিও কলে নিশোকে সেটা দেখিয়েছিলেনও। ভক্তের এমন কাণ্ডে আপ্লুত হন নিশো। ওই ভক্ত জানান, আমার ইচ্ছা, প্রতিবছর জন্মদিনে আপনার নামে এমনভাবে একটি করে ট্যাটু করা। সে সময় রূপসা চ্যাটার্জি বলেন, ‘আমি আপনার ডাই হার্ট ফ্যান কি না জানি না। এতটুকু জানি, উঠতে, বসতে, খেতে, ঘুমাতে- সবখানেই নিশোকে দেখি। তিনি আরও জানান, জন্মদিনে তিনি কোনো কেক কাটেননি। কিন্তু কেকের টাকা দিয়ে কিছু দুস্থ মানুষকে খাইয়েছেন।
এবার জানা গেলো, সেই ভক্ত আর বেঁচে নেই। শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন নিশো ভক্ত রূপসা। এদিন দুপুরে স্ত্রীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে ফেসবুক টাইমলাইনে রূপসার ছবি পোস্ট করে অনেকগুলো কান্নার ইমোজি দিয়েছেন তার স্বামী অজয় কুমার চ্যাটার্জি। তিনি লিখেছেন- ‘শি ইজ নো মোর’।
ফেসবুকে ‘বাংলা নাটক’ নামে একটি গ্রুপের সদস্য ছিলেন রূপসা। সেখানে তিনি নিয়মিত নিশোর ছবি আপলোড করতেন। প্রিয় অভিনেতার নাটকের প্রশংসা করে স্ট্যাটাস দিতেন। ২১ ঘন্টা আগেও সেই গ্রুপে তিনি লিখেছিলেন- ”তাহলে কি ‘সিন্ডিকেট’ আসছে? অধীর অপেক্ষায় আছি আমরা।” এমনকি এখনো রূপসার ফেসবুক আইডির স্টোরিতে নিশোর ‘রেডরাম’ ওয়েব ফিল্মের ভিডিও দেখা যাচ্ছে।
রূপসার মৃত্যুর কারণ জানিয়ে বাংলা নাটক গ্রুপের এডমিনদের মধ্যে জনি মিয়া নামে একজন বলেন, ‘শুনেছিলাম, রূপসা দিদি ক্যানসারে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ব্রেন হ্যামারেজ হয়ে বিছানা থেকে পড়ে যান তিনি। রাত ১০টায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ সকাল ১০টায় রূপসা দিদি মারা যান।’
এদিকে রূপসার মৃত্যুর খবরটি তার প্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর কাছেও পৌঁছেছে। এমন ভক্তের মৃত্যুতে কষ্ট প্রকাশ করে এই অভিনেতা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যে কোনো মৃত্যুই বেদনায়ক। রূপসা দিদি আমার কাজকে পছন্দ করতেন, এ কারণেই হয়তো ট্যাটু করে আমার নামটি সঙ্গে রাখতে চাইতেন। তিনি আমাকে কলকাতায় যেতে বলতেন। যাওয়ারও ইচ্ছা ছিল। কিন্তু করোনাসহ নানা কারণে যাওয়া হয়নি। এই জন্য আরও বেশি খারাপ লাগছে।’ নিশো আরও বলেন, ‘রূপসা দিদির সঙ্গে আর দেখা হবে না। তবে কলকাতায় গেলে অবশ্যই তার বাসায় যাব। দিদির জন্য দোয়া করি, যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন।’