ফিলাডেলফিয়া ও টেনেসি ও মিশিগানে হওয়া ভিন্ন ভিন্ন তিনটি গুলির ঘটনায় তিন জন করে নয় জন নিহত হয়েছেন। ফিলাডেলফিয়ায় আহত হয়েছেন ১১ জন এবং টেনেসিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ১৪ জন। এছাড়া মিশিগানে গুলিতে আহত হয়েছেন দুই জন।
টেনেসিতে একটি নাইটক্লাবের কাছে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। চাটানুগা পুলিশ প্রধান সি মারফি বলেন, গুলির সময় ঘটনাস্থল থেকে পালানোর সময় ১৪ জন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে দুইজন মারা যান এবং গাড়ির ধাক্কায় একজন প্রাণ হারান। দুটি ঘটনায় ঘটে শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে। অপরদিকে রোবাবর ভোরে মিশিগানের সাগিনাওয়ে চলে বেপরোয়া গুলি।
তিনি বলেন, আহত ও নিহতদের মধ্যে ১৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক, একজন কিশোর। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মারফি বলেন, শনিবার-রোববারের মাঝামাঝি রাত ২:৪২ মিনিটে একটি নাইটক্লাবের কাছে ম্যাককুলি অ্যাভিনিউতে গুলি চালানোর খবর পাওয়া যায়। অফিসাররা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং দেখেন বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে লোকজনকে সাহায্য করে ঘটনাস্থল সুরক্ষিত করেন। সেখানে একাধিক ব্যক্তি গুলি চালান। এ বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকলে জানাতে জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের শুটিং সম্পর্কে তথ্য দিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মারফি বলেন, পুলিশ বিশ্বাস করে যে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর তদন্ত হবে। ঠিক কি ঘটেছে এবং কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানার করার চেষ্টা করছি।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় একাধিক ব্যক্তি একটি ব্যস্ত সড়কে গুলি চালিয়ে তিনজনকে খুন ও ১১ জনকে আহত করেছে। নিহতদের মধ্যে দুজন পুরুষ, ও একজন নারী।
স্থানীয় সময় শনিবার মধ্যরাতের কিছু পরে সাউথ স্ট্রিট এলাকায় এ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ফিলাডেলফিয়ার পুলিশ ইন্সপেক্টর ডি. এফ. পেইস বলেন, ‘একাধিক সশস্ত্র ব্যক্তিকে ভিড়ের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে দেখা যায়।’
এর মধ্যে একজন হামলাকারীর দিকে পুলিশ পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। তখন ওই হামলাকারী তার অস্ত্র ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তার গায়ে গুলি লেগেছে কিনা তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
ফিলাডেলফিয়ার সাউথ স্ট্রিট চিত্তবিনোদনের জায়গা হিসেবে পরিচিত বলে পুলিশ জানিয়েছে। এখানে অনেকগুলো বার ও রেস্তোরাঁ রয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আমেরিকান ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ, রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট উভয়ই শক্তিশালী বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের পক্ষে, কিন্তু কংগ্রেসের রিপাবলিকান এবং কিছু মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাটরা বছরের পর বছর ধরে এই ধরনের আইন অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।