ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চোটের বিপক্ষে সংগ্রাম করতে হচ্ছে নেইমারকে। সেই সঙ্গে প্রতিপক্ষ দলের ফাউলের টার্গেট হতে হয় তাকে। এবারের বিশ্বকাপেও এমনটি হয়েচে। প্রথম ম্যাচ খেলেতে নেমেই ৯ বার ফাউলের শিকার হয়েছেন দ্য ফেনোমেনন।
শুধু তাই নয়, তাকে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে। দেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে গ্রুপপর্বে আর দেখা যাবে না ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ডকে। বিষয়টি কিছুতেই মানতে পারছেন না তার ভক্ত-শুভানুধ্যায়ীরা।
ভক্তদের এক বার্তায় নেইমার বলেছেন, গোড়ালির ইনজুরি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম কঠিন মুহূর্ত।
স্বীকার করেছেন, চোট তাকে কঠিন সময়ে এনে দাঁড় করিয়েছে। ইনজুরি সংক্ষিপ্ত করে দিতে পারে তার বিশ্বকাপ। গত বৃহস্পতিবার সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে ২০২২ বিশ্বকাপ শুরু করেছে ব্রাজিল। ওই ম্যাচের ৭৯ মিনিটে মারাত্মক ফাউলের শিকার হন নেইমার। কোচ তিতে তাকে তুলে নিতে বাধ্য হন। গ্রুপপর্বে সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুনের বিপক্ষে ব্রাজিলের অবশিষ্ট দুটি ম্যাচে তার খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই। সেলেকাওরা যদি নকআউট পর্বে ওঠে, নেইমার তখন ফিরতে পারেন মাঠে। তিনি যে কোনো মূল্যে খেলতে চান। যথাসাধ্য চেষ্টা করতে চান দেশকে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জেতাতে।
ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের উদ্দেশে এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘হলুদ জার্সি গায়ে আমি যে গর্ব অনুভব করি, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই জার্সির প্রতি আমার অশেষ ও অগাধ ভালোবাসা। সৃষ্টিকর্তা যদি আবারও আমাকে পৃথিবীতে আসার সুযোগ দেন, আমি ব্রাজিলকেই বেছে নেব।’ সেলেকাও তারকা আরও লিখেছেন, ‘আমার জীবনে কোনো কিছুই সহজে ধরা দেয়নি। কিছুই পাইনি আমি সহজে। স্বপ্ন তাড়া করতে হয়েছে। লক্ষ্যের পেছনে ছুটেছি। কখনো কারও ক্ষতি হোক, চাইনি। সাহায্যপ্রার্থীদের কখনো ফিরিয়ে দিইনি।’
তিনি উপসংহার টানেন এই বলে যে, ‘ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি এবং আবারও সেটি বিশ্বকাপে। হ্যাঁ, ইনজুরিতে ভুগছি আমি। ব্যাপারটি বেশ বিরক্তিকর। পীড়া দিচ্ছে। তবে আমি নিশ্চিত, ফিরে আসার সুযোগ পাবই। সেরাটা দিয়ে আমার দেশ, সতীর্থ এবং নিজেকে সহায়তা করার চেষ্টা করব।’