শফিকুল ইসলাম সোহেল
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঘনিষ্ঠ সহচর,মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাকের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শরীয়তপুরের ডামুড্যায় আওয়ামী যুবলীগ,
সেচ্ছাসেবকলীগ,ছাত্রলীগ ও আমার রাজ্জাক সেচ্ছাসেবী সংগঠন এর উদ্যোগে রেলি আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ও ষাটের দশকের ছাত্রনেতা আবদুর রাজ্জাক ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ৭০ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে র্যালি
বের হয়ে প্রধান প্রধান ফটক প্রদক্ষিন করে শরীয়তপুর -৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক এমপির বাসায় দোয়া এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শামীম, সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি কামাল হাওলাদার, ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আমার রাজ্জাক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সমন্বয়ক মোঃ মেহেদী হাসান রুবেল মাদবর, কামরুল হাসান মন্টি মাঝি, মিজানুর রহমান,এড. নিয়াজ মোর্শেদ, উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ফারুক আলম, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহেল, ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপ্রতি ইমরান হোসেন, সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলম,সরকারি আব্দুর রাজ্জাক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ,সাধারণ সম্পাদক মিঠু, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ,সেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগের উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃত্ববৃন্দ প্রমুখ।
এসময় দোয়া ও আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন,
রাজনৈতিক জীবনে আব্দুর রাজ্জাক তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতা, শান্তি ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনে। ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রথম সারির সংগঠক ও নেতা। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
এছাড়া ১৯৬৬-১৯৬৭ ও ১৯৬৭-১৯৬৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। আব্দুর রাজ্জাক ১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ২টি করে আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ ও ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আব্দুর রাজ্জাক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ’৭১-এর ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা।