মোহাম্মদ ইরফানুল ইসলাম
সংযুক্ত আরব আমিরাত
২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সহ সব বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও সুপরিচিত। বাঙালির ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এ দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮, বৃহস্পতিবার) বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এতে অনেক তরুণ শহীদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত সহ অনেকেই। এজন্য এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
বিশ্ব দরবারে এভাষা ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট ব্যাতিক্রমী এক আয়োজন করে। শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বহুভাষী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ৫টি দেশের কনস্যুলেটের অংশগ্রহণ করে।
শুক্রবারে রাতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে বাংলা ভাষার পাশাপাশি মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিনো,দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার কনস্যুলেট তাদের মাতৃভাষার গান, কবিতা, নৃত্য এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।
বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে আরও প্রসারিত করতে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি কূটনীতিক সম্পর্ক বাড়বে। এই অনুষ্ঠানটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মাতৃভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশেরও একটি সুযোগ হয়েছে বলে জানায় কনস্যুলেট জেনারেল মুহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।
সাধারণ প্রবাসীরা বলছেন, ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও দলীয়করণের বাহিরে গিয়ে বহুদিন পর কনস্যুলেটে দেশ ও দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু কিশোরদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়৷ তারা বলছেন বিদেশে পড়ালেখা করলেও দেশীয় ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চা করতে ভালোবাসেন৷