বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক-রুমি নোমান
ডাচদের সাথে বিশ্বকাপে বরাবরই ভালো খেলে আলবেসেলেস্তারা। কিন্তু প্রতিবেশী পরাশক্তি ব্রাজিলের বিদায় কিছুটা হলেও মনে কম্পন ধরেয়েছিলো ভক্তদের মাঝে। কিন্তু শেষ হাসি আর্জেন্টিনাই হেসেছে। আর তাদের জয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৫ একর জুড়ে বৈছে আনন্দের জোয়ার।
কাতার বিশ্বকাপ উপভোগের জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট মাঠ ও শেখ হাসিনা হলে লাগানো হয়েছে দুইটি বড় পর্দা। সেখানে খেলা উপভোগ করেন শত শত শিক্ষার্থী। খেলার সঙ্গে স্লোগান, হৈ-হুল্লোড়, আতসবাজি, পটকা ফুটোনোতে মেতে উঠেন শিক্ষার্থীরা।
রাত একটায় কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। শনিবার দিবাগত রাতে প্রথম থেকেই ডাচদের চাপে রেখে খেলা শুরু করে ম্যারাডোনার দল।
খেলায় নির্ধারিত সময় শেষে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে অতিরিক্ত যোগ করা ১০ মিনিটে। আর অতিরিক্ত সময়ে শেষ মিনিটে ২-২ সমতায় শেষ হয় খেলা।
উচ্ছ্বসিত দর্শকরা যেন নিমিশেই হতাশ। অতিরিক্ত সময়ে দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও কেউই পায়নি গোলের দেখা। এতেই ম্যাচের ফলাফলের জন্য গড়ায় টাইব্রেকারে। আর টাইব্রেকারে ডাচদের প্রত্যাবর্তন রুখে সেমিফাইনালের টিকিট কাটে আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট হাতে নিয়ে নেদারল্যান্ডসকে দেশে ফেরার টিকেট ধরিয়ে দেন আলবেসিলেস্তেরা। আর এরই মাধ্যমে বিশ্বকাপে বেঁচে থাকে মেসি ভক্তদের আশা।
খেলা শেষ হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠ ও শেখ হাসিনা হলে দর্শকদের উন্মাদনা শুরু হয় পতাকা হাতে ও জার্সি পরিহিত অবস্থায় আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মিছিল ও স্লোগানে মুখরিত হয় ইবি ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও আর্জেন্টাইন সমর্থক আবির বলেন, খেলা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। ম্যাচটি অল্পের জন্য হাত ফসকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। তবে ট্রাইব্রেকারে পুরোপুরি মুগ্ধ হয়েছি। আশা করি, এবাবের বিজয়ের মুকুট মেসিবাহিনীর হাতেই উঠবে।