আলীকদম (বান্দরবান)প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানে আলীকদম উপজেলায় দুই গরু ব্যবাসায়ীকে মিয়ানমারের চোরা কারবারীরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে। অপহরণ কারী গরু ব্যবসায়ী কাছ থেকে গরু ক্রয় বাবদ লক্ষ টাকা বকেয়া পাওনা আছে বলে এমন ধারনা করছে অনেকেই । বকেয়া টাকার জন্য তাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে এমনটা ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারী) ২০২৩খ্রীঃ আলীকদম উপজেলা কুরুকপাতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড, দুর্গম মায়ানমার সীমান্ত বড় আঘলা এর ৫৬ নং সীমান্ত পিলার এলাকা থেকে ৯ জানুয়ারী২০২৩খ্রীঃ সোমবার সন্ধ্যা ৬ টায় আতিকুর রহমান(৩৫) ও জসিম উদ্দিন (৫৫) নামে দুই গরু ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়,তারা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই। তারা আলীকদম সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে পশ্চিম বাজার পাড়া এলাকায় বাসিন্দা মৃতঃ আব্দুস সালামের ছেলে আতিকুর রহমান ও একই এলাকার বাসিন্দা নুরুল কবির ওরফে কালু মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন।
কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো দুইজনকে অপহরণ করার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে জানান স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, মিয়ানমারের গরু চোরাকারবারীরা আলীকদমের দুইজন গরু ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। মিয়ানমারের গরু চোরাকারবারীরা তাদের কাছে এক কোটি টাকা মত পাওনা থাকায় তাদেরকে ধরে নিয়ে গেছে বলে জেনেছেন। অপহরণ করা দুইজনকে মিয়ানমারের ভিতরে পিয়ারী এলাকায় নামক স্থানে আটকে রেখেছেন বলে জানা গেছে।
আরো জানা গেছে, আতিকুর রহমানের ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মিয়ানমারের চোরাকারবারী তার ভাই আতিকুর রহমান ও ভগ্নিপতি জসিম উদ্দিনকে গতকাল সন্ধ্যায় ধরে নিয়ে গেছে। তাদের কাছ থেকে টাকা পাবেন এটা জানি। তবে কত পাবেন সেটা জানি না। এখনো তাদের ব্যাপারে কোন খবরা খবর পাই নাই এমনকি অপহরণ কারী কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগ ও করে নাই। এলাকা টি মায়ানমার ভিতরে হওয়াতে আমরাও তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিনা। বর্তমানে আমরা খুব চিন্তায় আছি।
আমার ভাই ও ভগ্নিপতিকে উদ্ধারে বিষয়ে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।
এই দিকে দুইজনকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবী আদায় সম্পর্কে জানতে চাইলে আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার জানান স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছেন, কিন্তু এখনো এই ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য যে আলীকদম দিয়ে সম্প্রতি মিয়ানমারের গরু চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। আলীকদম ব্যাটালিয়ন ৫৭ বিজিবি কর্তৃক গত ৩ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করে আলীকদম ৫৭ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল মোঃ শহীদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন নিয়মিত অভিযানে বিগত ৬ মাসে বিজিবি ৮ কোটি ,৬৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৮০৭টি গরু মহিষ আটক করা হয়েছে।