ভারত থেকে আলু আমদানি হওয়ার কারণে কমেছে দেশি ও ভারতীয় আলুর দাম। দেশি আলু কেজিপ্রতি প্রকারভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় এবং ভারতীয় আলু কেজি প্রতি ২৫ থেকে ২৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে আবারো বেড়েছে দেশি পেঁয়াজে দাম। কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দরে। ভারত থেকে আমদানি না হওয়ার কারণে বেড়েছে দাম- বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
রোববার দুপুরে হিলির বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি বাজারে আলু ও পেঁয়াজ ক্রেতা মিনারুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের মৌসুমেও দেশি পেঁয়াজের দাম অনেকটাই বেশি। তবে আলুর দাম কিছুটা কমেছে। সামনে রমজান মাস ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করলে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে দিবে, তখন আমরা সাধারণ ক্রেতারা বিপাকের মধ্যে পড়ে যাব। আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার খুব দ্রুত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করুক।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ ও আলু বিক্রেতা রায়হান কবির বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবর গত দুই দিন আগে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছিল। বর্তমানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার কোনো খবর না থাকার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দুই দিনের মধ্যে নাকি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে সেই সংবাদে আগামীকাল যদি মোকামগুলোতে দাম কমে তাহলে আমরা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, এক মাস বন্ধ থাকার পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে। যার ফলে দেশি আলুর দামও কমেছে। বর্তমানে দেশি আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি এবং ভারতীয় আলু হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি মোকামে ২৫ থেকে ২৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, শনিবার ভারতীয় ৩টি ট্রাকে ৬৯ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।