শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি
শাহজাদপুরের সামাজিক সংগঠন আলোকবর্তিকার ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় শাহজাদপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আলোকবর্তিকার প্রতিষ্ঠাতা সুমনা শিমুর সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক শামীমা নাহারের সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শাহ আজম শান্তনু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শাহজাদপুর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষম মো. সাইফুল ইসলাম, শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বিমল কুন্ডু, ৭১ টিভির সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মো. মাসুদ পারভেজ প্রমূখ।
অনু্ষ্ঠানের শুরুতেই প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের ফুলের তোরা দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করে আলোকবর্তিকা সংগঠনের আলোকছটারা (সদস্য)। এসময় শাহজাদপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিদ্যালয় পরিদর্শনকালের মন্তব্যের একটি অনুলিপি প্রদান করা হয়।
পরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সুচনা করা হয়। এসময় আলোকবর্তিকা সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন শিশু সদস্য সামিহা সাবা ও হাবিবুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে শাহজাদপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও আলোকবর্তিকা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সুমনা শিমু সংগঠনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকা থেকে কিছু অংশ সঞ্চয়ের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা ও অভিভাবকদের সংগঠনের পক্ষে অবস্থানের প্রশংসা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শাহ আজম শন্তনু বলেন, আলোকবর্তিকার ক্ষুদে সদস্যদের বড় বড় কাজের মাধ্যমে শাহজাদপুর উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠীর মাঝে যেভাবে সহযোগিতা পৌছে দিয়ে চলেছে সেই কাজ প্রসংশার দাবি রাখে।
এসময় তিনি আলোকবর্তিকার উদ্যোগে চালু করা লাইব্রেরীতে ১০ হাজার টাকার বই উপহার দেয়ার ঘোষনা দেন। এবং রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে আলোকবর্তিকার নতুন নতুন কার্যক্রমের সমন্বয় করার আহবান জানান।
আলোচনা সভা শেষে আলোকবর্তিকার সদস্যদের মাঝে ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদাক করা হয়।
এর আগে সকাল ৭টায় আলোকবর্তিকা সংগঠনের পক্ষ থেকে ৪ শতাধিক দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।