ভ্রান্ত পথ থেকে রক্ষা করেন
সম্পদ রক্ষা করেন
আল্লাহ তাআলা আমাদের সম্পদকে রক্ষা করেন। তিনি আমাদের সম্পদ রক্ষার জন্য ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। ফেরেশতার মাধ্যমে তিনি সুরক্ষা দেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে রমজানে জাকাতের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব দিলেন। একসময় এক ব্যক্তি এসে খাদ্যসামগ্রী উঠিয়ে নেওয়ার উপক্রম করল। আমি তাকে ধরে ফেললাম এবং বললাম, আমি তোমাকে আল্লাহর নবী (সা.)-এর কাছে নিয়ে যাব। এরপর পুরো হাদিস বর্ণনা করেন। তখন লোকটি বলল, যখন আপনি ঘুমাতে যাবেন, তখন আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন। এর কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন পাহারাদার নিযুক্ত হবে এবং ভোর পর্যন্ত শয়তান আপনার কাছে আসতে পারবে না। নবী (সা.) (ঘটনা শুনে) বলেন, (যে তোমার কাছে এসেছিল) সে সত্য কথা বলেছে, যদিও সে বড় মিথ্যাচারী শয়তান। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫০১০)
আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন প্রাণী সৃষ্টি করেছেন। এবং প্রাণিকুলকে আত্মরক্ষা করার জন্য সেসব শক্তিও দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ প্রত্যেককে তার উপযুক্ত আকৃতি দিয়েছেন, তারপর তার পথ প্রদর্শনও করেছেন।’ (সুরা : ত্বহা, আয়াত : ৫০)
একেক প্রাণী অন্য প্রাণী থেকে একেকভাবে আত্মরক্ষা করে। কোনো প্রাণী রয়েছে, তাদের বড় বড় শিং দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সে নিরাপত্তা লাভ করে। অন্য পশুর আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারে।
আবার কোনো প্রাণীকে প্রচণ্ড রকমের ক্ষিপ্রতা দিয়েছেন, সে তার তীব্রতাকে কাজে লাগিয়ে অন্য প্রাণীর আক্রমণ থেকে বেঁচে যায়।
এর মাঝে কিছু প্রাণী এমন আছে, যেগুলোর মাঝে আল্লাহ তাআলা বিষ ঢেলে দিয়েছেন। সেই বিষ দ্বারা অন্যান্য প্রাণী থেকে আত্মরক্ষা করে। আল্লাহ তাআলা সব সৃষ্টিকে তার গঠন-প্রকৃতি অনুযায়ী জীবিত থাকা ও জীবনের রসদ সংগ্রহ করার নিয়ম শিক্ষা দান করেছেন। এগুলো সব মহান রবের সৃষ্টি তিনি প্রতিটি প্রাণীকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিনি আল হাফিজ।
কীটপতঙ্গ থেকে রক্ষা করেন
আমরা যখন গভীর নিদ্রায় হারিয়ে যাই, তখন আমাদের নাক-কানে বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ আক্রমণ করতে পারত। আল্লাহ তাআলা নিজ দয়ায় আমাদের সেগুলো থেকে রক্ষা করেন। আসহাবে কাহাফ বা গুহাবাসী যারা তাদের ঈমান রক্ষা করার জন্য গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, যে জায়গাটি একদমই নিরাপদ ছিল না। তাদের আল্লাহ তাআলা ৩০০ বছর গুহাতে রেখেছেন। বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পোকামাকড় থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি এমন সৈন্যবাহিনী সেখানে নিযুক্ত করে দিয়েছেন, যার ভয়ে কেউ তাদের আশপাশে যাওয়ার সাহস করেনি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আপনি যদি তাদের দিকে তাকিয়ে দেখতেন তাহলে অবশ্যই পেছনে ফিরে পালিয়ে যেতেন। আর অবশ্যই আপনি তাদের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে যেতেন।’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ১৮)