ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
“জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস” উপলক্ষে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত আশাশুনি ও শ্যামনগরকে একীভূত করে সংসদীয় আসনের আপত্তিতে স্মারকলিপি প্রদান কবরে আর জেলখানায় একাই যেতে হয়, কলিমুল্লাহকে আদালত দীপু মনি অন্যায় আবদার করতেন, আদালতকে কলিমুল্লাহ আজ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’ শুরু রামগঞ্জ থানার নবাগত ওসি আঃ বারী’র যোগদান ট্রাম্প শুল্ক আরোপের পর মোদি- চড়া মূল্য দিতে হলেও আপস করব না ঢাকা ও তেজগাঁও বিমানবন্দরের নো-ফ্লাই জোনে ২৬৩টি অনুমোদনহীন উঁচু ভবন ধামরাইয়ে মাদক বিরোধী মত বিনিময় সভা বাঙ্গালহালিয়া-ধুলিয়া মুসলিম পাড়ার চলাচল রাস্তা কাঁদা মাটিতে হাহাকার, শত শত মানুষের দুর্ভোগ

আশাশুনি ও শ্যামনগরকে একীভূত করে সংসদীয় আসনের আপত্তিতে স্মারকলিপি প্রদান

মোস্তাকিম বিল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলাকে একটি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

স্মারকলিপিটি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রেরন করা হয়। আশাশুনি উপজেলাবাসীর পক্ষে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এএম রিয়াছাত আলী বিশ্বাসের ছেলে নু.আ.ম.মুরতাজা আলীসহ একাধিক সংক্ষুব্দ ব্যক্তি স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে,বাংলাদেশ স্বাধীনের পর হতে ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ২টি আসন ছিল। ১টি সংসদীয় এলাকা সাতক্ষীরা-৩ আশাশুনি আসন ও অপরটি সংসদীয় এলাকা সাতক্ষীরা-৫ শ্যামনগর উপজেলা আসন। যা ছিল ভৌগলিকভাবে দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দুর্যোগপূর্ণ উপকূল এলাকা বিবেচনায়। এরপর বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে জামায়াত ও বিএনপির বেজ এলাকা বাছাই করে শুধু ভোটার সংখ্যার বিবেচনায় বেশ কিছু সংসদীয় এলাকায় আসন কমিয়ে তাদের সুবিধামত ঢাকা সহ আরো কিছু জায়গায় আসন বৃদ্ধি করা হয়। তার-ই অংশ হিসাবে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসন গঠিত হয়ে ১টি আসন কমানো হয়। কিন্তু এবার আশাশুনি ও শ্যামনগরকে ১টি মাত্র সংসদীয় এলাকা সাতক্ষীরা-৪ আসন করায় বিষয়টি সমাধান না হয়ে আরো জটিল হয়েছে। কারণ ভৌগলিক দিক থেকে আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলা অনেক বিস্তৃত ও নদী বহুল অঞ্চল। আশাশুনি নদী দিয়ে চার খন্ডে বিভক্ত, শ্যামনগর তিন খন্ডে বিভক্ত এবং আশাশুনির সাথে শ্যামনগরের সরাসরি কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা নাই। শ্যামনগর উপজেলা বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম উপজেলা, আশাশুনিও তার পাশাপাশি বড়। ২টি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অন্যান্য উপজেলার তুলনায় অনেক দুর্গম ও খারাপ।
প্রতি বছর আশাশুনির বেতনা,মরিচ্চাপ,গলঘেষিয়া, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর ২০টি পয়েন্টে ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। একইভাবে শ্যামনগর উপজেলায় বিভিন্ন পয়েন্টে ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়, যা একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে তদারকি করা দুরূহ। এছাড়া এ বিশাল এলাকার ১০ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী নিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্পিং করা ১জন সংসদ সদস্যের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে উন্নয়ন, নদী ভাঙ্গনসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কার্যকর তদারকি করা কঠিন। তাই ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় না নিয়ে ভৌগলিক অবস্থান, দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা ও উপকূল এলাকা হিসাবে বিবেচনায় নিয়ে আশাশুনি উপজেলা ও শ্যামনগর উপজেলাকে দুটি সংসদীয় আসন হিসেবে ফিরিয়ে আনা জরুরী। জনস্বার্থে আসন পুনর্বিন্যাসের নতুন সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের ন্যায় আশাশুনি উপজেলাকে ১টি সংসদীয় আসন করতে আবেদন জানান হয়েছে। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আমির আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার,নায়েবে আমীর নুরুল আবছারমুরতাজা,সহকারী সেক্রেটারি ডাঃ রোকনুজ্জামান,অফিস সেক্রেটারী মাওঃ রুহুল কুদ্দুস,অন্যাদের মধ্যে প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান,মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ,শেখ আরিফুল্লাহ সিদ্দিকী,প্রদীপ কুমার প্রমুখ।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০২:৪০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
৫১৭ Time View

আশাশুনি ও শ্যামনগরকে একীভূত করে সংসদীয় আসনের আপত্তিতে স্মারকলিপি প্রদান

আপডেটের সময় : ০২:৪০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলাকে একটি সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

স্মারকলিপিটি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রেরন করা হয়। আশাশুনি উপজেলাবাসীর পক্ষে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এএম রিয়াছাত আলী বিশ্বাসের ছেলে নু.আ.ম.মুরতাজা আলীসহ একাধিক সংক্ষুব্দ ব্যক্তি স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে,বাংলাদেশ স্বাধীনের পর হতে ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ২টি আসন ছিল। ১টি সংসদীয় এলাকা সাতক্ষীরা-৩ আশাশুনি আসন ও অপরটি সংসদীয় এলাকা সাতক্ষীরা-৫ শ্যামনগর উপজেলা আসন। যা ছিল ভৌগলিকভাবে দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দুর্যোগপূর্ণ উপকূল এলাকা বিবেচনায়। এরপর বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে জামায়াত ও বিএনপির বেজ এলাকা বাছাই করে শুধু ভোটার সংখ্যার বিবেচনায় বেশ কিছু সংসদীয় এলাকায় আসন কমিয়ে তাদের সুবিধামত ঢাকা সহ আরো কিছু জায়গায় আসন বৃদ্ধি করা হয়। তার-ই অংশ হিসাবে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসন গঠিত হয়ে ১টি আসন কমানো হয়। কিন্তু এবার আশাশুনি ও শ্যামনগরকে ১টি মাত্র সংসদীয় এলাকা সাতক্ষীরা-৪ আসন করায় বিষয়টি সমাধান না হয়ে আরো জটিল হয়েছে। কারণ ভৌগলিক দিক থেকে আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলা অনেক বিস্তৃত ও নদী বহুল অঞ্চল। আশাশুনি নদী দিয়ে চার খন্ডে বিভক্ত, শ্যামনগর তিন খন্ডে বিভক্ত এবং আশাশুনির সাথে শ্যামনগরের সরাসরি কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা নাই। শ্যামনগর উপজেলা বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম উপজেলা, আশাশুনিও তার পাশাপাশি বড়। ২টি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অন্যান্য উপজেলার তুলনায় অনেক দুর্গম ও খারাপ।
প্রতি বছর আশাশুনির বেতনা,মরিচ্চাপ,গলঘেষিয়া, কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর ২০টি পয়েন্টে ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। একইভাবে শ্যামনগর উপজেলায় বিভিন্ন পয়েন্টে ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়, যা একজন সংসদ সদস্যের পক্ষে তদারকি করা দুরূহ। এছাড়া এ বিশাল এলাকার ১০ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠী নিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্পিং করা ১জন সংসদ সদস্যের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে উন্নয়ন, নদী ভাঙ্গনসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কার্যকর তদারকি করা কঠিন। তাই ভোটার সংখ্যা বিবেচনায় না নিয়ে ভৌগলিক অবস্থান, দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা ও উপকূল এলাকা হিসাবে বিবেচনায় নিয়ে আশাশুনি উপজেলা ও শ্যামনগর উপজেলাকে দুটি সংসদীয় আসন হিসেবে ফিরিয়ে আনা জরুরী। জনস্বার্থে আসন পুনর্বিন্যাসের নতুন সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের ন্যায় আশাশুনি উপজেলাকে ১টি সংসদীয় আসন করতে আবেদন জানান হয়েছে। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আমির আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার,নায়েবে আমীর নুরুল আবছারমুরতাজা,সহকারী সেক্রেটারি ডাঃ রোকনুজ্জামান,অফিস সেক্রেটারী মাওঃ রুহুল কুদ্দুস,অন্যাদের মধ্যে প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান,মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ,শেখ আরিফুল্লাহ সিদ্দিকী,প্রদীপ কুমার প্রমুখ।