জকাজী মোঃআশিকুর রহমান
স্পেশাল করসপনডেন্টঃ
আশুলিয়ার ইয়ারপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্বা মোঃহাবিবুর রহমানে মেয়ে মোছাঃ আকলিমা আক্তারের স্বামী স্ত্রীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
এবিষয়ে আকলিমা আক্তার বলেন বিবাহের ছয় মাস পর থেকে সংসারের মধ্যে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন আমার স্বামী ফিরোজ আলম।
তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় স্টোর কিপার হিসেবে চাকুরী করার সুবাদে পারিবারিক ভাবে তার সাথে বিয়ে হয় আমার।
ছয় মাসের মাথায় নাইট ডিউটির অজুহাতে তিনি রাতে বাসায় আসতো না। এবং আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত করতো না।
আকলিমা আক্তার আরও বলেন আমার স্বামীর মামা তোতা মিয়া আমাকে বলেন আমার স্বামী বিয়ে করেছেন এবং সেই ঘরে দুইটি সন্তান রয়েছে।
মামা শশুরের কথায় আমার স্বামীেক আটক রাখি । আটক রাখার পর আমার স্বামী ফিরোজ পাগলামি শুরু করে দেয়ালে মাথা ঠুকতে শুরু করে।
আমি এব্যপারে আবারও মামাকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন ও মাদক সেবন করে এজন্যই হয়তো পাগলামি শুরু করেছে।
তার পাগলামি দেখে, পরে আমার পরিচিত মোঃ বোরহান উদ্দিন কে বিষয়টি জানালে তিনি মাদকাসক্ত কিনা পরিক্ষা করে প্রমাণ পেয়ে সুস্থতার সার্থে রিহাবে ভর্তি করেন।
বর্তমানে রিহাব থেকে সুস্থ হয়ে আমার বাসায় ছিল। আমার স্বামীর লোকজনকে এবিষয়ে মিমাংসা করার কথা বলেন এবং তারা বৃহস্পতিবার সকালে এসে সমাধান করবেন বলে জানান। কালকে তারা আসার কথা শুনে বুধবার ০৫/১০/২০২২ ইং তারিখ সন্ধ্যায় আমাকে আবারও মারধর করে বাসা থেকে পালিয়ে যায়।
ফিরোজ ইতিমধ্যে ব্যবসার কথা বলে আমার নিকট থেকে প্রায় দশ লক্ষ্যাদিক টাকা নিয়ে সাভারের রাজাসন ও ধামরাইয়ে নিজ নামে জমি ক্রয় করেছে।
আমাদের বিয়ের আজ ১২ বছর পার হলেও এবং মা হওয়ার সক্ষমতা থাকলেও এখন পর্যন্ত উনি আমাকে একটি সন্তান দেয়নি।
এবং আমার বরণ পোষনও করেন না, আমি স্থানীয় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করে জীবিকা নির্বাহ করছি। অথচ সে আমাকে না জানিয়ে গোপনে বিবাহ করে সংসার করে আসছে। বর্তমানে আমি মানবেতর জীবন যাপন করছি।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করা হয়েছে যার নং ৩১৩।