কাজী মোঃআশিকুর রহমান:
সরকারি ভাবে হাইওয়ে রাস্তায় ইজিবাইক নামে থ্রি হুইলার গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও ট্রফিক পুলিশ কর্তৃক মাসিক চাঁদার মাধ্যমে চলছে এসকল গাড়ি।
শুধু তাই নয় হাইওয়ে রাস্তার ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে দোকান পাট, ট্রাক ষ্ট্যান্ড, মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড, কাপরের দোকান, কাঁচা বাজার,মাছের বাজার সহ বিভিন্ন দোকান- এসকল স্থান থেকে ও টি আই গোলাম মওলার নামে মাসিক হাড়ে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা।
এই কারণেই প্রতিনিয়ত লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রায় তিন শতাধিক নিষিদ্ধ থ্রি হুইলার গাড়ি বিকেল চারটার পর থেকে পরের দিন সকাল নয়টা পর্যন্ত নবীনগর টু জিরানি বাজার পর্যন্ত হাইওয়ে রাস্তায় চলাচল করছে ।
শ্রীপুরে হাইওয়ে রাস্তায় মাহিন্দ্রা নামক ইজিবাইক ষ্ট্যান্ড করে বাবুল নামে এক ব্যক্তি চাঁদা আদায় করে কাশিমপুরের রাস্তায় চালাচ্ছে, উক্ত রাস্তায় প্রতিনিয়ত লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট। সেখান থেকে মাসিক হাড়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে ১৮ হাজার টাকা।
সরজমিনে রপ্তানি(DEPZ) পুলিশ বক্সে গেলে দেখা যায় ট্রাফিক টি আই গোলাম মওলা স্থানীয় চাঁদাবাজদের সাথে মিষ্টি খাওয়া এবং খোশগল্পের দৃশ্য।
এব্যপারে টি আই গোলাম মওলা খোস গল্পের মধ্যে বলেন এসকল গাড়ি ধরে ড্রামপিং করলে অনত্রে বদলি করে দেন, এজন্যই যে যা দেন পকেটে নেই, তিনি আরও বলেন, আমি আসছি মাত্র ৬/৭ মাস হয়েছে, বেশি কিছু করতে পারিনি, ইনকাম করে গেছে টি আই আনোয়ার।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কমিউনিটি পুলিশের সাথে কথা বলে জানা যায় বর্তমান টি আই গোলাম মওলা শ্রীপুরের চাঁদাবাজ বাবুল এর কাছ থেকে মাসে নেন ১৮ হাজার টাকা, চারটার পর যে ইজিবাইক চালাচ্ছে ল্যাংড়া আলম,তিনি দিচ্ছে ১৫,হাজার সুমন ১৫ হাজার, মামুন ১৫ হাজার, বাদশা ৫ হাজার, বলিভদ্র বাজার মাইক্রো-বাস ষ্ট্যান্ড ও ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে ও আনবিক কেন্দ্রের কোল ঘেষে রাস্তায় আলিফ কাউন্টার করে সেখান থেকে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।
এবিষয়ে ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের সাভার জনের প্রধান সালাম সাহেবের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমিও এইরকম বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরে শুনছি কিন্তু প্রমাণ পাইনি, তবে এবিষয়ে সঠিক প্রমাণ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।