বিশেষ প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগরে বিএনপির হরতালে বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্রে করে জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন, লালমনিরহাটের গোকুন্ডা ইউনিয়নের বেড়পাঙ্গা এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে সকালে বিএনপির হরতাল চলাকালীন জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বাঁধা প্রদান করলে তাদের উপর আক্রমণ চালায় হরতাল সমর্থনকারীরা। এতে গোকুণ্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বিএনপি’র ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতাল সমর্থনে মিছিল করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় বিএনপি। একই সময় হরতাল বিরোধী শান্তি মিছিল বের করে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। মিছিলটি বুড়িরবাজার মসজিদ এলাকায় আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় বিএনপি অফিস থেকে আওয়ামী লীগ ও পুলিশকে লক্ষ করে ঢিল ছুড়লে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বেশকয়েক জনকে আক্রামন চালায় বিএনপি কর্মীরা। পরে তদেরকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে। পরে আহত অবস্থায় কয়েক জনকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর হোসেন মারা যান। এ ঘটনায় আরো আওয়মীলীগের দুই নেতাকর্মী আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তাই আজ আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব রুহুল আমিন দুলাল, মাসুদুর রহমান মাসুদ, সদস্য জেলা যুবলীগ, সফিকুল ইসলাম শাকিব সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগ, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা রিপন, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা আনোয়ার, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক, মিলন ও যুবলীগ নেতা ডিনার সহ আরও অনেক নেতা কর্মীবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।