ইইউ হোম অ্যাফেয়ার্স কমিশনার ইলভা ইওহানসন ঘোষণা করেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ১৩টি দেশ অভিবাসী স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুত। ইতোমধ্যে আট হাজার জন স্বেচ্ছায় স্থানান্তরে সম্মত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। তাছাড়াও আর্থিক সহায়তা মিলেছে। তার কথায়, ইতিবাচক ফল মিলেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ জন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হোম অ্যাফেয়ার্স কমিশনার সোমবার চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে এক বৈঠকে মিলিত হন৷ সেখানে দুই বছর আগে প্রস্তাবিত ইইউ অভিবাসন চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়৷
জোটের ১৩টি দেশ বলেছে, চুক্তির আওতায় দ্রুত স্বেচ্ছাসেবী স্থানান্তর শুরু করতে ইচ্ছুক তারা৷ আট হাজারেরও বেশি অভিবাসী এভাবে স্থানান্তরে সম্মত হয়েছেন৷ আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন অন্যরাও৷
ইলভা ইওহানসন এটিকে চুক্তির ইতিবাচক ফল বলে উল্লেখ করেছেন৷ তিনি বলেন, ধারণাটি হল স্বেচ্ছাসেবী সংহতি প্রক্রিয়ার চেষ্টা করা এবং তার ভিত্তিতে ইইউর অভিবাসন সংক্রান্ত আইন সংস্কারের জন্য পরিস্থিতি ‘ভাগ’ করে নেয়া৷
ছয়মাস পরপর ইইউ প্রেসিডেন্সি জোটভুক্ত একেকটি দেশকে দেয়া হয়৷ ২০২৩ সালে ছয় মাস স্পেন এই দায়িত্ব পাবে৷ বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্র দায়িত্বে রয়েছে৷
স্পেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফার্নান্দো গ্র্যান্দে-মারলাস্কা বলেন, ‘‘২০২৩ সালে স্পেনের ৬ মাসের দায়িত্ব পাবে৷ ভবিষ্যতের আইন অনুমোদনের জন্য সেটা ভাল সময়৷’’
বৈঠকে মন্ত্রীরা ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ছাড়াও অস্ত্র পাচার নিয়েও আলোচনা করেন৷ ইওহানসনের কথায়, ‘‘যুগোস্লাভিয়ার অতীত অভিজ্ঞতা ছাড়াও ইতিমধ্যে এ ধরনের ইঙ্গিত পেয়েছি আমরা৷’’
এই প্রেক্ষাপটে, মলদোভাতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় নতুন ‘ইইউ সাপোর্ট হাব’ তৈরি করা হয়েছে।
কমিশনার বলেন, ‘‘অস্ত্র পাচার বা মানবপাচারসহ সংগঠিত অপরাধের ফলে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে, হাব তৈরির ফলে সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে মলদোভার সঙ্গে যৌথ পদক্ষেপ আরো বাড়বে৷’’
এই হাবে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ইউরোপোল, অস্ত্রপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ফ্রন্টেক্স এবং মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সহায়তা ইইউবিএএম অন্তর্ভুক্ত থাকবে৷