রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে। আর ঠিক এই সময়েই বিরাট সমস্যার মুখে পড়েছে ইউক্রেন তার অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে । যে সেনাবাহিনী লড়াই করছে, তার নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে খবর সামনে এসেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রতিটি অঞ্চলের নিয়োগ অফিসারকে বরখাস্ত করেছেন। সব মিলিয়ে ১১২টি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে। অন্যদিকে শূন্যপদে সেনা অফিসারদের নিয়োগ করা হবে। যারা যুদ্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অথবা অঙ্গহানি হয়েছে, দেশের জন্য যারা লড়াই করেছেন, একমাত্র তাদেরই এখন ওই পদে বসার অধিকার আছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
এর আগেও সেনাবাহিনীর নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে আলোড়ন হয়েছিল ইউক্রেনে। সেনা পরিচালনায় দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছিল। গুরুত্বপূর্ণ সেনা অফিসারকে বরখাস্ত করেছিলেন জেলেনস্কি। কিন্তু এবার যে দুর্নীতির কথা সামনে এসেছে, তা আকার ও আয়তনে আগের সমস্ত অভিযোগের চেয়ে অনেক বড়।
অভিযোগ, বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়োগ-অফিসারেরা অর্থের বিনিময়ে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট বিলি করেছেন। যে সার্টিফিকেট থাকলে যুদ্ধে অংশ নিতে হবে না। শুধু তা-ই নয়, অর্থের বিনিময়ে অপ্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের কমব্য়াট ফোর্সে পাঠানো হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, নিয়োগ-অফিসাররা সেনা সদস্যদের যুদ্ধে না পাঠিয়ে নিজেদের বাড়ি তৈরির কাজ তাদেরকে দিয়ে তৈরি করিয়েছেন। এক অফিসার দুর্নীতির টাকায় পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নামে দামি গাড়ি এবং স্পেনে বাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বরখাস্ত করা অফিসারদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলেনস্কি জানিয়েছেন যারা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করছেন, তাদের প্রমাণ করতে হবে, তারা নির্দোষ। তাদের ফ্রন্টলাইনে গিয়ে যুদ্ধে যোগ দিতে হবে।
সম্প্রতি সেনা নিয়োগের দপ্তরগুলোতে এসব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে। আর তা থেকেই এই পরিমাণ দুর্নীতির ছবি সামনে এসেছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে।