ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য আরও ৫ লাখ সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাশিয়ার। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও গ্রহণ করছে মস্কো। সামরিক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এমনটাই দাবি করেছে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে এর আগে, ২০২২ সালের অক্টোবরেই রাশিয়া ইউক্রেনে অতিরিক্ত ৩ লাখ সেনা মোতায়েন করেছে। এখন আবারও ৫ লাখ সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে বলে দাবি করল ইউক্রেন। দেশটির দাবি, মূলত পুতিনের এই যুদ্ধ শেষ করার কোনো ইচ্ছাই নেই। তাই নতুন করে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছেন পুতিন।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের উপপ্রধান ভাদিম স্কিবিতস্তি বলেছেন, ‘ইউক্রেন বিশ্বাস করে, নতুন করে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা এটিই নির্দেশ করে যে, রাশিয়া আসন্ন বসন্ত এবং গ্রীষ্মে আমাদের দেশের পূর্ব এবং দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে আক্রমণ চালাবে।’
তবে রাশিয়া এমন দাবি অস্বীকার করেছে। গত মাসেই পুতিন বলেছিলেন, নতুন করে সেনা মোতায়েনের আলাপ একেবারেই ভিত্তিহীন ও অপ্রয়োজনীয় আলাপ।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ইউক্রেনে দুদিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। অর্থোডক্স ক্রিসমাস উপলক্ষে সেনাদের শুক্র থেকে শনিবার (৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত হামলায় বিরতি দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
পুতিনের ঘোষণামতো শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। তবে মস্কো বলেছে, রুশ সেনারা অস্ত্রবিরতি পালন করলেও ইউক্রেনীয় বাহিনী গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগেও উভয় বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছিল।
শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রুশ সেনারা অস্ত্রবিরতি পালন করছে। তবে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক ও জাপোরিঝিয়ায় আমাদের বেশকিছু অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।
অর্থোডক্স ক্রিসমাস উপলক্ষে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান রাশিয়ার খ্রিষ্টান ধর্মগুরু প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ধর্মগুরুর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন পুতিন। ঐতিহ্যগতভাবে অর্থোডক্স ক্রিসমাস রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় দেশেই উদ্যাপন করা হয়।