প্রায় তিন হাজার আমেরিকান ইউক্রেনের পক্ষ হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে বলে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইউক্রেনের দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। ভয়েজ অব আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে এমন খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে সৈন্য পাঠায়নি। তবে অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। রাশিয়া ও দেশটির ধনকুবেরদের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে একাধিক দেশ।
এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি বিদেশি যোদ্ধাদের তার দেশের জন্য লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এই যুদ্ধে প্রায় ১৬ হাজার বিদেশি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশ নিয়েছেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। যুদ্ধের ১১তম দিনে ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিওপোলে আরেক দফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।
মারিওপোল শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরটিতে নতুন করে আরেকটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসামরিক বাসিন্দারা এই সময় শহর ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
গতকাল শনিবারও এরকম যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল বেসামরিক নাগরিকদের শহর থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু সেই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়। যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রুশ সেনারা আবার শহরটির ওপর গোলাবর্ষণ শুরু করে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।
তবে এ ব্যাপারে উল্টো বক্তব্য দিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদীরাই শহর থেকে বেসামরিক মানুষকে বের হতে বাধা দিচ্ছে। তাদের অভিযোগ, রুশ বাহিনী যখন একটি মানবিক করিডোর তৈরি করে, তখন তাদের ওপর গুলি চালানো হয়।