শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, ইউনেস্কোর মতো একটি বহুপাক্ষিক সংস্থার সঙ্গে বিগত ৫০ বছর যাবৎ বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ইউনেস্কো’র বিভিন্ন সনদে অনুস্বাক্ষর করেছে এবং নিয়মিত নির্বাহী বোর্ডের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছে। সবমিলিয়ে এ সুদীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ ও ইউনেস্কো’র সম্পর্ক একটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর এতে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন।
আজ রাতে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু -এর উৎসব বলরুমে বাংলাদেশ ও ইউনেস্কোর সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন আয়োজিত ‘সম্পর্কের ৫০’ বছর উদযাপন ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ এমপি বলেন, সংস্কৃতি খাতে ইউনেস্কো’র হাত ধরে বাংলাদেশ একাধিক অসামান্য অর্জনের গৌরব লাভ করেছে। বাংলাদেশ ও ইউনেস্কোর সম্পর্কের ৫০ বছরের সুদীর্ঘ সময়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অর্থাৎ ইউনেস্কোর কর্মপরিধির মূল যে ক্ষেত্রসমূহ রয়েছে, বাংলাদেশে তার প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছে ইউনেস্কো।
বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনেস্কো ঢাকা কার্যালয়ের অফিসার ইন চার্জ মিজ সুজান ভাইজ। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল মো. সোহেল ইমাম খান।
শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি আরো বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে ইউনেস্কোসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশের পাশে থাকবে মর্মে আশা প্রকাশ করেন।
কে. এম. খালিদ আরো বলেন, আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ জামদানি ও সিলেটের শীতলপাটি বুনন শিল্প, বাউল সংগীত এবং পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ২০১৭ সালে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে অন্তর্ভুক্তি এবং ১৯৯৯ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান- বাঙালি হিসেবে এ দু’টি অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ।বাসস