বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিতার্কিক দলকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিতার্কিক দল। শনিবার দুপুর ১২ টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) করোনার অভিঘাত উত্তরণে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এ বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিরোধী দল হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকরা হলেন, অর্থনীতি বিভাগের মার্স্টার্সের শিক্ষার্থী আবু হুরাইরা (দলনেতা), ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের নওরীন নুসরাত স্নিগ্ধা (উপ-নেতা) ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মার্স্টার্সের ইশতিয়াক আহমেদ (সাংসদ)। অন্য দুই সহযোগী সাংসদ হলেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মাহমুদুল হাসান ও অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের নাজমুস সাকিব।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। বিচারক ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাইনুল আলম, সাংবাদিক শারমীন রিনভী, সাংবাদিক জাহিদ রহমান ও সাংবাদিক সুশান্ত সিনহা। মক স্পিকার হিসেবে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। প্রতিযোগিতাটি আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, দেশে বিদ্যমান মানিলন্ডারিং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না করে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা অন্যায়কে স্বীকৃতি দেওয়া। এবারের বাজেটে ৭ শতাংশ কর দিয়ে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাবটি বাতিল করা উচিত। ইতিপূর্বে কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়াও খুব বেশি কার্যকর হয়নি।
তিনি বলেন, অর্থনীতির দীর্ঘদিন ধরে যে শক্তিশালী অবস্থান তা আরো মজবুত করতে সুশাসনের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদেশী উৎস থেকে ঋণ নিয়ে ডলারের উপর বোঝা না বাড়িয়ে ঘাটতি বাজেট পূরণে দেশীয় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়েছে। করোনা অভিঘাত উত্তরণে অন্তত পরবর্তী এক বছর বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করা উচিত। বিদ্যুৎ-গ্যাস-তেলের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ জনগণের উপর চাপ তৈরি করে।