টানা কয়েক সপ্তাহ খারাপ আবহাওয়া থাকায় অভিবাসী আগমন বন্ধ থাকার পর আবারও ইতালির লাম্পেডুসা দ্বীপে নৌকায় আসা অনিয়মিত অভিবাসীদের ভীড় বাড়তে শুরু করেছে৷ গত সপ্তাহান্তে ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রবেশ করেছেন লাম্পেডুসায়। দ্বীপটির প্রধান কেন্দ্র থেকে এ পর্যন্ত ২৬০ জনেরও বেশি অভিবাসীকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।
ইউরোপ তথা ভূমধ্যসাগরে ভালো আবহাওয়া শুরুর সাথে সাথে ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে অভিবাসীদের আগমন আবারও বাড়ছে। গেল সপ্তাহান্তে ১২টি নৌকায় চড়ে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ৮০০ জনেরও বেশি লোক লাম্পেডুসা দ্বীপে পৌঁছেছেন।
ইতালীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দ্বীপে আসা অভিবাসীরা মূলত মিশর, সিরিয়া, সুদান, সোমালিয়া, নাইজার এবং ইরিত্রিয়া থেকে আসা।
এই আগমনের সাথে সাথে ২৫০ জন লোকের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন লাম্পেডুসার প্রথম অভ্যর্থনা কেন্দ্রটি দ্রুত পূর্ণ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে অনেক অভিবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
ইতালীয় সংবাদমাধ্যম প্রিমাতো নাজিওনাল জানিয়েছে, রোববার ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় স্থানীয় আগ্রিজেন্তে প্রিফেকচার কর্তৃপক্ষ ফেরিযোগে ১২৭ জন অভিবাসীকে ইতালির সিসিলির পোর্তো এম্পেডোকেলে স্থানান্তর করেছে।
এছাড়া সোমবার সন্ধ্যায় সানসোভিনো ফেরিতে চড়ে আরও ১০৪ জন অভিবাসীকে পোর্তো এম্পেডোকলে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
অপরদিকে, কোয়ারেন্টাইন জাহাজে মবি দাদারে থাকা ১৬০ অভিবাসী লাম্পেডুসা দ্বীপের প্রধান কেন্দ্র ছেড়ে দ্বীপের ছোট বন্দর কালা পিসানায় নোঙর করেছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম স্কাইটিজি ২৪ অনুসারে, সোমবার ৪৪১ জন অভিবাসী লাম্পেডুসার অভ্যর্থনা কেন্দ্রে ছিলেন।
প্রিমাতো নাজিওনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বীপে অভিবাসীদের আগমন বৃদ্ধির সম্মুখীন হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছে লাম্পেডুসার মেয়র টোটো মার্টেলো।
টোটো মার্টেলো বলেন, “আমরা একটি বিশেষ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছি। লাম্পেডুসা উপকূলের সমুদ্রে এবং দ্বীপে উদ্ধার ও অভ্যর্থনা কার্যক্রমে নিযুক্ত সবাইকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। আমি বিশ্বাস করি যে ইটালি এবং ইউরোপকে অবশ্যই একই কাজ করতে হবে। কার্যপ্রণালি প্রস্তুত করার সময় আন্তর্জাতিক সংহতি, মানবিক অভ্যর্থনা এবং কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরে ও দক্ষিণে কী ঘটছে সেটি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”