বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক-রুমি নোমান
রাজার হাটতে গেলে পায়ে ধুলো লাগে। তাই মন্ত্রীদের নির্দেশ দিলেন পুরো রাজ্য সাফ করতে। রাজার হুকুমে ১৭ লক্ষ ঝাটার মাধ্যমে পুরো রাজ্য ঝাড়ু দেওয়া হলো। এতে রাজ্য ধুলোয় সর্দি-কাশিতে মরার উপক্রম হলো। পরে মন্ত্রীদের পরামর্শে রাজা পুরো রাজ্য পানিতে ভিজিয়ে ধুলো কমানোর নির্দেশ দিলেন। এতে পুকুর, নদী সব শুকিয়ে গেল আর রাজ্যে সকলের শুরু হলো জ্বর-সর্দি।
এরপর পরামর্শ সভায় পুরো রাজ্য মাদুর দিয়ে ঢেকে রাজাকে ঘরের মধ্যে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলো। রাজ্যে যথাযোগ্য চামার খুঁজতে ছুটোছুটি শুরু করলো সকলেই। এরপর বৃদ্ধ এক চর্মকার (মুচি) রাজার দুই পা চামড়া দিয়ে ঢাকার পরামর্শ দিলেন। রাজা তাকে অনুমতি দিলে পা চামড়ায় মুড়িয়ে দেন। সেই থেকে রাজার পা ধুলোমুক্ত হলো। আর এভাবেই হলো জুতা আবিষ্কার।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জুতা আবিষ্কার কবিতা অবলম্বনে (জুতা আবিষ্কার) নামক পথ নাটকটি শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা একটায় ক্যাম্পাসের ডায়না চত্বরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমাজের অবহেলিতদের দ্বারা সভ্যতায় অবদান ফুটে উঠেছে। নাটকে অতিথি ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা গাউছুল আজম রিন্টু। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী নাটকটি উপভোগ করেন।
থিয়েটারের সহ-সভাপতি কৌশিক আহমেদের দিক-নির্দেশনায় কুশিলব ছিলেন, বদরুল আমিন পিয়াস (হবু রাজা), আব্দুল মমিন নাহিদ (গবুচদন্দ্র মন্ত্রী), তাজনিয়া লাবণ্য (উজির), মাহমুদুজ্জামান নিশান (নাজির), আদনান আলিম পাটোয়ারী (শান্ত্রী), মাহির আল-মুজাহিদ (চর্মকার), পারিজাত সুলতানা ও কুলছুম আক্তার (ঝাড়ুদার) এবং মোনালিসা মুনা (পুথিপাঠক সিতারা বেগম)।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান আহমেদ, সহ-দফতর সম্পাদক ইমরান নাজির ও কার্যনির্বাহী সদস্য শিহাব উদ্দীন।
থিয়েটারের সভাপতি আবদুল মমিন নাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের ষোড়শ কর্মপর্ষদের প্রথম নাটক ‘জুতা আবিষ্কার’ দিয়ে পথচলা শুরু। আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যপ্রেমিদের আরও সুন্দর সুন্দর নাটক উপহার দিবে। বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার সকলের সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রার্থী।