বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক-রুমি নোমান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশীয় অস্ত্রসহ আটককৃত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । বহিষ্কারকৃত শিক্ষার্থী হলেন আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য। বুধবার ( ২০ জুলাই) রেজিস্ট্রার ( ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা যায়, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শামসুল আলমকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবর্দী খানকে সদস্য সচিব ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামানকে কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার (১৮ জুলাই) মধ্যরাতে বহিষ্কারকৃত কাব্য ও বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আল আমিন হোসেন ছিনতাই করে। তারা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে মালবাহী একটি ট্রাকের গাড়ির চালক ও সহযোগীকে মারধর করে পাঁচ হাজার টাকা ও গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেন।
বিষয়টি সংবাদপত্রে প্রকাশ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি অফিসার আব্দুস সালাম সেলিম ও সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ক্যাম্পাসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন কাব্য ও তার সহযোগীরা। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাত টায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে দেশীয় অস্ত্রসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাকে আটক করেন। এসময় তার অন্য সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে ইবি থানা পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধ। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এ ধরনের কাজ করবে এটি দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং মামলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে এমন কর্মকাণ্ড কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা ফৌজদারি আইনের ১৫১ ধারায় মামলা আসামি কে কোর্টে পাঠিয়েছি