পাকিস্তানের সংসদ নির্বাচনে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তোশাখানা মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে ইমরান খানকে ‘দুর্নীতির’ জন্য দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন।
পাকিস্তানের সংবিধানের আর্টিকেল ৬৩ (১) ধারায় ৫ বছরের জন্য তার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের বেঞ্চ এ ঘোষণা দেয়।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) তাৎক্ষণিকভাবে শুক্রবারের এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে। দলটি বলছে, এই আদেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানাতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল করবে তারা। সমর্থকদের রাস্তায় নামতে আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
আগস্টে পাকিস্তান মুসলিম নওয়াজ দলের একজন সদস্য ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া উপহার কিনেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া ঘোষণাপত্রে এ সম্পদের তথ্য প্রকাশ করেননি।
সম্প্রতি ফের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলেন ইমরান খান। গত সপ্তাহে উপনির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিল ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। গত রবিবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আট আসনের মধ্যে ছয় আসনেই জয়ী হয়েছে ইমরানের দল। যার মধ্যে সাতটি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল পিটিআই। অন্য দিকে, পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির তিন আসনের উপনির্বাচনে দুটিতেই জয় পেয়েছে পিটিআই। যার ফলে ধাক্কা খেয়েছে সে দেশের ক্ষমতাসীন জোট।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। তারপর থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল পিটিআই। শাহবাজ শরিফের সরকারকে সরাতে উঠেপড়ে লাগেন ইমরান-অনুগামীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সভা-সমাবেশ করে পিটিআই। তারপর এই উপনির্বাচনে অধিকাংশ আসনে ইমরান খানের দলের জয় উল্লেখযোগ্য। আর সেজন্যই হয়তো বিরোধীরা এবার ইমরান খানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছে।