দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আজ শনিবার শেষ হচ্ছে আপিল করার সময়। গতকাল কমিশনে আরও ৯৩ জন আপিল করেছেন, তাদের নিয়ে চারদিনে ইসিতে আপিল আবেদন জমা পড়েছে ৪৩১টি। রোববার থেকে আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। যা শুক্রবার পর্যন্ত চলবে।
কমিশন বলছে, নিয়ম মেনে আপিল করলে ন্যায়বিচার পাবেন প্রার্থীরা। সব আবেদনের নিষ্পত্তি হবে আইন মেনে।
ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি অভিযোগ করেছেন, নৌকার প্রার্থী শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হকের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে ইসিতে আপিল করেছেন নাসিরুল হক খান। তিনি ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এর আগে নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেতেও ইসিতে আপিল করেন নাসিরুল হক খান।
সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমানের মনোনয়নের বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেন আতিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। কুমিল্লা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বশির আহমদ। কুমিল্লা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধেও ইসিতে এক ব্যক্তি আপিল করেছেন।
কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে আগে তিনবার নৌকার মনোনয়ন পান নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ। এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জমা দেন মনোনয়নপত্র। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে এসে দাবি করেন, তুচ্ছ কারণে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ বলেন, ২০১৪ সালে আমার নামে একটি এফআইআর ছিল। সেজন্য বাতিল করা হয়েছে মনোনয়নপত্র। তবে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না এই মর্মে এরই মধ্যে এফআইআরের ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। সেজন্য আপিল করলাম।
আওলাদের দাবি, গুরুতর অভিযোগ থাকলেও অন্য দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়নি। তিনি বলেন, ঋণ থাকার পরও মুজিবুল হক চুন্নুর মনোনয়ন বাতিল করা হয়নি। জাতীয় পার্টির এই প্রার্থী চুন্নুর ৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ আছে।
কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, যারা সঠিক নিয়মে আপিল করেছেন তারা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। ৩০ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়। ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে আপিল করার সুযোগ। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি করবে ইসি।