বিএনপি জানিয়েছে, সদস্যদের মাসিক চাঁদা, বই-পুস্তক বিক্রয়, ব্যাংক সুদ ও এককালীন অনুদান থেকে বাৎসরিক এই আয় এসেছে। অন্যদিকে ব্যক্তিগত সহযোগিতা, দুর্যোগকালীন সহযোগিতা, কর্মসূচী বাস্তবায়ন, লিফলেট-পোস্টার ছাপানোর মতো কাজগুলোয় ব্যয় করেছে দলটি।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে এই হিসাব জমা দেয়।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রিজভী বলেন, যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, তারা আবারও নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করতে পারে। সরকারকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আগে মেরুদণ্ডহীন ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপি করেছিল। তবে বর্তমান কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী পর পর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
বর্তমানে ইসিতে আওয়ামী লীগসহ নিবন্ধিত দল ৫১টি হলেও আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় ৫০টি দলকে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে চিঠি দিয়েছে ইসি।