মো:আলরাজী(স্টাফ রিপোর্টার): ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানায়। ঈদের দ্বিতীয় দিনে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। বাঘ, সিংহ, হরিণ কিংবা ময়ূর দেখতে সেখানে ভিড় জমিয়েছেন সব বয়সী মানুষ।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখা যায়, টিকিটের জন্য দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন দর্শনার্থীরা। এরপর সেই টিকিট দেখিয়ে প্রবেশ করছেন চিড়িয়াখানায়। সবার মুখেই ছিল আনন্দের ছাপ। বিশেষ করে শিশুদের উচ্ছ্বাসটা ছিল সবচেয়ে বেশি।
ভেতরে প্রবেশের পর এক খাঁচা থেকে আরেক খাঁচায় হেঁটে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন পশু দেখছেন। বড়রা তাদের শিশু সন্তানের বিভিন্ন পশুপাখির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। সিংহের খাঁচার সামনে ভিড় ছিল বেশি। পশুর রাজাকে দেখে শিশুদের মনে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
বাঘের খাঁচার সামনেও ভিড় ছিল অনেক। বনের রাজাকে রাগানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে শিশুরা। ‘হাম, হাম’ করে অনেক শিশু মুখে ভেংচি তুললেও লাভ হচ্ছে না। কিছু সময় বসে ও কিছু সময় খাঁচার চারপাশে হাঁটছে বাঘ। ‘বাঘ মামা’কে কোনোভাবেই রাগাতে না পেরে অনেকে অন্য খাঁচায় যাচ্ছে।
তবে বানরের খাঁচার সামনে এসে অনেকটা পয়সা উসুল হয় দর্শনার্থীদের। শিশু থেকে শুরু করে সবাই বানরের ভেংচি কাটা প্রাণভরে উপভোগ করেন। অনেকে বাদাম কিনে দিলে বানর তা নিয়ে দ্রুত খাঁচার ওপরে উঠে সেই বাদাম খাচ্ছে। আর তাতে উচ্ছ্বসিত শিশুরা। এছাড়া ভাল্লুক, জিরাফ, হাতি, হরিণ, ময়ূরসহ চিড়িয়াখানার সবগুলো খাঁচার সামনেই ছিল দর্শনার্থীদের জটলা।
এদিকে চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা ঈদ উপলক্ষে চিড়িয়াখানার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কর্মচারী-কর্মকর্তারা সাতটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করছেন। এই সাতটি দলে ৬৪ জন কাজ করছেন। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে লোকাল পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ ও র্যাব। এছাড়াও নিজস্ব আনসার বাহিনীও কাজ করছে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে।