পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেকেই নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই অনেকে হয়তো ঢাকা ছাড়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন। নাগরিকদের ঈদ আনন্দ নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ১২টি পরামর্শ দিয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো—
১. ঢাকা মহানগরীতে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সড়কে বাস রেখে বা থামিয়ে যাত্রী ওঠানো যাবে না। যাত্রীরা টার্মিনালের ভেতরে থাকা অবস্থায় বাসের আসনগ্রহণ করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বাসের প্রতিনিধিদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
২. ঢাকা মহানগরীতে আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার বাসগুলো টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কের অংশ দখল করে থামবে না।
৩. ভ্রমণকালে ঢাকা মহানগরের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথের গণপরিবহনগুলো শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে, যেন অযাচিত যানজটের সৃষ্টি না হয়।
৪.ঢাকা মহানগর থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে নিবৃত থাকতে হবে।
৫. আন্তঃজেলা পরিবহনের যাত্রীরা বা গমনপ্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভেতরে অবস্থান করতে হবে।
৬. ঢাকা মহানগর থেকে দূরপাল্লার রুট পারমিটবিহীন বা অননুমোদিত রুটে কোনো বাস চলাচল করবে না। বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলবেন এবং কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবেন।
৭. বাসের ভেতরে যাত্রীদের অপরিচিত কারও কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
৮. সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে টিকিট সঙ্গে রাখবেন।
৯. যাত্রীদের মালামাল নিজ হেফাজতে সাবধানে রাখবেন।
১০. কোনো যানবাহনেই ছাদের ওপর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না।
১১. যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসচালকরা এমন কোনো অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না। এতে সড়কের শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটে ও জীবনহানির শঙ্কা থাকে।
১২. করোনার প্রকোপ ঊর্ধ্বগতি বিধায় পরিবহন চালক ও যাত্রী সবাইকে যথাযথ স্বাস্থবিধি অনুসরণ করে যাতায়াত করতে হবে।
প্রয়োজনে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বর ০১৭১১-০০০৯৯০ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।