মো: আহসানুল ইসলাম আমিন, স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী ঢাকার নিকটবর্তী মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে মেহেদী বিক্রেতাদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। মাহে রমজান শেষে ঈদুল ফিতর যত ঘনিয়ে আসছে মেহেদী চাষীদের ব্যস্ততা ততোটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দের চর এলাকার মেহেদী বিক্রিতাদের বাড়িতে সকাল সন্ধ্যা বাড়ির মহিলাদের হাতে মেহেদী আঁটি বাঁধা থেকে শুরু করে সেগুলোকে সাজানো এর পর ঢাকায় বাজারজাত করাসবমিলিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে স্থানীয় মেহেদী ব্যবসায়ীরা। ঈদ কে কেন্দ্রকরে এখন আর মেহেদী চাষী কেন্দ্রীক ব্যবসাটা সীমাবদ্ধ নেই। ঈদে মেহেদীর খুবচাহিদা থাকায় চাষীদের পরিবারের সবাই হাত বাটায় মেহেদী কাটা থেকে শুরু করে আঁটিবাধা বুজারূপে প্রস্তত করা থেকে বাজারে নিয়ে বিক্রি করা পর্যন্ত।কারণ মেহেদী ব্যবসায়ীক ভাবে সবচাইতেবেশী বেচাকেনা হয় মুসলিমউম্মাহর সব চেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উতসব ঈদের বাজারে।যেহেতু আরমাত্র অল্পকদিন পরই ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে সেহেতু বর্তমানে এখানকার মেহেদী বিক্রিতাদেরএকটু ফুরসুৎ নেই।
বলাবাহুল্য এখন আর বিয়েতে কষ্ট করে কেউ কন্যার দুহাত রাঙানোর জন্য মেহেদি বাটে না। হাতেরকাছেই আছে বিভিন্ন কোম্পানির কৃত্রিম মেহেদির টিউব। কিন্তু তাই বলে কি বাটা মেহেদির কদরশেষ? না তা নয়। এখনও বিভিন্ন বয়সী নারী এমনকি পুরুষদের কাছেও বাটা মেহেদির কদর বেড়েছে।হাত আর পা রাঙানোর পাশাপাশি মেহেদী এখন ব্যবহার হচ্ছে মাথায়, অনেকটা ওষুধের মতো। কারওচুলে পাক ধরেছে তাই একটু কায়দা করে মেহেদী লাগিয়ে মাথার চুলটা রাঙিয়ে নেন। এ ছাড়া মাথারখুশকি দূর করতে, রাজ্যের চাপে মাথা গরম হয়ে গেলে মাথাটা একটু ঠান্ডা করতেও এটি ব্যবহারকরছেন অনেকে।জানাযায় মেহেদী গাছের ফুল থেকে তৈরি হয় সুগন্ধি তেল। রঙের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন এই গাছের চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও মিসর, সুদান, ইরান ও অস্ট্রেলিয়ায় মেহেদী গাছের চাষ হয়।গুল্মজাতীয়, শাখা প্রশাখাযুক্ত চিরসবুজএই গাছটি আট ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। শীতকালে শাখা প্রাশার মাথায় সাদা কিংবা হালকা গোলাপি রঙের থোকা থোকা অসংখ্য ফুল ফোটে। ফল মটরদানার মতো গোল হয়।
সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দের এলাকায় দিন দিন যেন মেহেদেী চাষের কদরবেড়েই চলেছে আর ঈদে এর ব্যাপকতা রূপ নেয় সীমাহীন ভাবে। এই গ্রামগুলোতে অন্যান্য শাকসবজি ও ফসলের মতোই সারা বছর বাড়ির আশপাশে অনেক এলাকা নিয়ে চাষ হচ্ছে মেহেদীর।প্রতি বিঘা জমিতে মেহেদীর বিক্রি মূল্য হয় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা আর একবিঘা জমির মেহেদী বছরে ছয়বার বিক্রি করা যায় সাচ্ছন্দে তবে মুসলিম উম্মাহার পবিত্র দুইটি ঈদে অন্যন্য দ্রব্যমূল্যের মতো মেহেদীর বিক্রি ও বেড়ে যায়। মেহেদী বেপারী আ. বারেক মিয়া জানান,আমরা আগে মাথায় মেহেদীর বুজা নিয়ে ঢাকা এবং পুরান ঢাকার অলিগলিতে খুচরা ফেরি করে বিক্রি করতাম।তবে এখন আর সেভাবে বিক্রি করা লাগেনা এখন ঢাকার বাসাবুক,খিলগাঁও,শান্তিনগর, মুগদা,মৌলভীবাজার নয়াবাজার,মেহেদীর দোকান আছে আমরা সে দোকানে পাইকারী দামে বিক্রি করি।তবে ঢাকার অলিগলি দিয়ে বাসায় বাড়িতে বিক্রি করার মজাই আলাদা দামও পাওয়া যায় বেশি।
সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার জানান,সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দের চরে প্রায় একশটি পরিবার মেহেদী চাষের সাথে জড়িত তবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে মেহেদী চাষীদের কোন সরকারি অনুদান দেওয়া হয়না মেহেদী চাষ সম্প্রসারণের জন্য শুধু তাদের পরামর্শ ও কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করা হয় মাত্র। #