Thursday , 28 March 2024
শিরোনাম

উত্তর কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন

এবার উত্তর কোরিয়ায় হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস। আজ বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের কথা স্বীকার করা হয়েছে। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে করোনার অমিক্রন ধরন শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

বিষয়টিকে ‘গুরুতর জাতীয় জরুরি অবস্থা’ আখ্যায়িত করে দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন।

তবে উত্তর কোরিয়া বিদেশি সাহায্য নিয়ে টিকাদান কর্মসূচি চালাতে রাজি হয়নি। দেশটি সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ নাগাদ উত্তর কোরিয়ায় কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। দেশটির কোনো নাগরিককে টিকা দেওয়ার বিষয়েও কোনো দাপ্তরিক তথ্য নেই।

উত্তর কোরিয়ায় রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, ‘রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুতর জাতীয় জরুরি ঘটনাটি ঘটে গেছে। আমাদের জরুরি মহামারি প্রতিরোধ লড়াইয়ে একটা ধাক্কা লেগেছে। আমরা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দুই বছর তিন মাস এ মহামারি ঠেকিয়ে রেখেছিলাম’।

কেসিএনএ জানায়, জ্বরে ভুগছেন এমন লোকজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ৮ মে। এতে অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন শনাক্ত হয়। এ উপধরন বিএ.২ হিসেবেও পরিচিত। তবে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও সংক্রমণের উৎস সম্পর্কে এতে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উন। এরপরই করোনা শনাক্ত হওয়ার এ খবর প্রকাশ করা হয়। করোনার বিস্তার ঠেকাতে শহর ও পৌর এলাকাগুলোকে ‘কঠোর লকডাউন’ মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন কিম। জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে কখনো একজন করোনা রোগীও শনাক্ত হওয়ার কথা বলেনি উত্তর কোরিয়া। অথচ প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনে করোনার অমিক্রন ধরন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তাই উত্তর কোরিয়া এত দিন কোভিডমুক্ত ছিল, সেটি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আসছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

২০২০ সালের শুরুতে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়া কঠোর কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা চালু করে। সীমান্তও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যান এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তি দেশে ফেরার পর উপসর্গ দেখা গেলে দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী কায়েসংয়ে তিন সপ্তাহের জন্য কিম জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং লকডাউন আরোপ করেন।

ডব্লিউএইচওর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মার্চ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার ২ কোটি ৪৭ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে ৬৪ হাজার ২০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাদের কারোরই করোনা শনাক্ত হয়নি।

Check Also

যত জঙ্গি ধরেছি, তাদের কেউ মাদ্রাসার ছাত্র নন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জঙ্গিবিরোধী অভিযানে যত জঙ্গি ধরেছি, তার মধ্যে কেউই মাদ্রাসার ছাত্র নন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x