Friday , 19 April 2024
শিরোনাম

উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশ নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এখন অনেক শক্তিশালী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশ আমরা নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করতে পারি এখন, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে।’

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, এনএসটি ফেলোশিপ’ ও ‘বিশেষ গবেষণা অনুদান’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন হয়েছে, করোনাকালেও ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করা হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে আমরা এখন যথেষ্ট শক্তিশালী হতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। বৈশ্বিক নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী।

ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদানপ্রাপ্তদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের দেওয়া রাজস্ব থেকে আপনাদের ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। কাজেই যারা ফেলোশিপ পাচ্ছেন আপনাদেরও সর্বোচ্চ শ্রম এবং দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করতে হবে। কারণ আমরা চাই দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তুলতে।

শেখ হাসিনা বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। আমাদের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। কাজেই এই কৃষিকে যেমন যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উন্নত করতে হবে, পাশাপাশি শিল্পায়ন ও আমাদের দরকার।

৪র্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকারপ্রধান বলেন, শিল্পায়নের ক্ষেত্রে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। তার জন্য উপযুক্ত দক্ষ মানবশক্তিও আমাদের গড়ে তুলতে হবে এবং সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা আপনাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

নতুন প্রজন্মকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে মন্তব্য শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভবিষ্যত বংশধরদের আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে আগামী দিনের বাংলাদেশ অর্থাৎ ২০৪১ এর উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজে সকলকে মনোনিবেশ করতে হবে যে, কীভাবে ধাপে ধাপে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। সেদিকে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে।’

গবেষকদের সর্বোচ্চ শ্রম ও দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের দেওয়া রাজস্ব থেকে আপনাদের ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। আপনাদেরকেও, যারা ফেলোশিপ পাচ্ছেন, সর্ব্বোচ্চ শ্রম ও দায়বদ্ধতা নিয়ে জাতীয় উন্নয়নে কাজ করতে হবে। কারণ আমরা চাই দক্ষ মানব শক্তি গড়ে তুলতে। কারণ বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবন। তার সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে।’

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানও বক্তব্য রাখেন।

Check Also

ইসরাইলের হামলায় ইরানে বিমান চলাচল বন্ধ, ইরাকে ব্যাপক বিস্ফোরণ

ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। দেশটির ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে। এর পরই ইরানের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x