আগামী ৩ নভেম্বর শুরু হতে পারে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মোট ৪০ দিনে এ পরীক্ষা শেষ করা হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে পরবর্তী ১০ দিন পর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু করতে চায় শিক্ষা বোর্ডগুলো। প্রস্তাবিত পরীক্ষার রুটিন তৈরি করেছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। গত সপ্তাহে এ রুটিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, চলতি বছর বন্যা পরিস্থিতির কারণে এসএসসি-সমমান এবং এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা পিছিয়ে গেছে। এসএসসি পরীক্ষা চলতি মাসের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এরপর ১০ অক্টোবর থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। আসন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা-২০২২ সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে প্রেস ব্রিফিং করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড থেকে জানা গেছে, এসএসসি পরীক্ষা শেষ হতে প্রায় দুই মাস লেগে যাবে। সে কারণে আগামী ৩ নভেম্বর থেকে এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা শুরু করতে খসড়া পরীক্ষা রুটিন তৈরি করা হয়েছে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এরপর ২০ ডিসেম্বর থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে এক সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। প্রস্তাবিত রুটিন গত সপ্তাহে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এটি অনুমোদন দেয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে জানা গেছে।
দেখা গেছে, চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থীর অংশ নেবে। সাধারণ নয়টি বোর্ডের অধীনে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। এর বাইরে দাখিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে।
অন্যদিকে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। অন্যান্য বছরের হিসাবে প্রতি বছর দেড় থেকে দুই লাখ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে ঝরে পড়ে। সে অনুযায়ী ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ লাখ ছাত্রছাত্রী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
এ ব্যাপারে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তাবিত রুটিন তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সেটি অনুমোদন দিলে দেশের সব বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।