মো. আহসানুল ইসলাম আমিন,নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখন থেকে প্রার্থীদের ৭টি তথ্য সংবলিত হলফনামা দাখিল করতে হবে মর্মে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির এক ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধতা ঘোষণার রায়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম ও অ্যাডভোকেট জাহেদ উল আনোয়ার। পরে গণমাধ্যমকে বলেন, ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বক্তপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ফারুকুল আজমের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে রিট দায়ের করি। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট একই বছরের ৩১ অক্টোবর ফারুকুল আজমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে অপর প্রার্থী আপিল করেন। আপিলের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের গেজেট জারিও স্থগিত করে দেন।
পরে আপিল বিভাগ গত ৬ মার্চ রুলটি নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন। সেই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ ঘোষণা করে ফারুকুল আজমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, অন্যান্য নির্বাচনে নমিনেশন পেপারের সঙ্গে ৭টি তথ্য সংবলিত হলফনামা দেওয়ার বিধান আছে। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হলফনামা দেওয়া হয় না। যদিও ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ২৬ (৩)-এ হলফনামা দেওয়ার কথ বলা হয়েছে। কিন্তু ২০১০ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিতে শুধুমাত্র প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। হলফনামা দেওয়ার কথা নেই।
হাইকোর্ট বলেন, যেহেতু বিধিমালার ওপরে আইন প্রাধান্য পাবে, সেই কারণে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রার্থীদের হলফনামা দাখিল করতে হবে। এরপর থেকে সব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলাদা ফরমে হলফনামার তথ্য দাখিল করতে হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।