জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত দুর্নীতিতে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে দ্বিধান্বিত হব না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল শনিবার জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন হুঁশিয়ারি দেন ।
তিনি বলেন, এনআইডির গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। এটা এখন অপরিহার্য। সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে অনেক সময় সংকট দেখা যায়। এটা এখনো যায়নি। তবে আগের চেয়ে এনআইডি এখন অনেকটাই সুষ্ঠু অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। এটা ছাড়া অনেক কাজ এখন আমিও করতে পারব না।
সিইসি বলেন, খুব বেশি নয়, যারা অতি চালাক তারা একাধিক কার্ড করে ফেলেন। তাই আমাদের কর্মকর্তারা সতর্কতার সঙ্গে কাজ করবেন। সম্পত্তি বেহাত করার জন্য যে এনআইডি কার্ড করা হয় আমি হয়তো ভুল করে দিতে পারি। কিন্তু সচেতনভাবে অপরাধের সঙ্গে অংশ হিসেবে যদি এটা আমরা করে থাকি তাহলে আমাদের টলারোন্স জিরো হবে। আমরা ওই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে হস্তান্তর করতে দ্বিধান্বিত হব না।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এখন এনআইডিরই বাই প্রোডাক্ট হয়ে গেছে ভোটার কার্ড। এনআইডি বিষয় আজ নয়, আজ ভোটার দিবস। কীভাবে এটি বর্তমান পর্যায়ে এলো এটি ইতিহাসের একটা বিষয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে একটা বড় দল আসেনি। তাই অনেক ভোটার না এসে থাকতে পারে। আমাদের কাজ হলো ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। সেদিক থেকে নির্বাচন কমিশনের ওপর বড় দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। তবে যারা শক্তিশালী তারা অন্যের স্বাধীনতা পছন্দ করেন না।
সিইসি বলেন, নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে বলেই দায়িত্ব শেষ হয়েছে এমন নয়। আগামীতে যারা আসবে তাদের জন্য একটা ক্ষেত্র তৈরি করে যেতে হবে। আজকের গণতন্ত্র আদর্শিক গণতন্ত্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতি রাষ্ট্র গড়ে ওঠার পর গণতন্ত্রের বিকাশ হলো।
সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাদেশা সুলতানা, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।