পাকিস্তানে বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতিতে পাক সরকারি কর্মকর্তাদের দেশত্যাগ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন দেশটির সিকিউরিটি অ্যান্ড ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)।
নির্দেশনায়, পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র বা এনওসি ছাড়া পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা দেশত্যাগ করতে পারবেন না বলে জানানো হয়। কোনো সরকারি কর্মকর্তা যদি এনওসি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ করতে চান তাদের ঠেকাতে বলেছে কর্তৃপক্ষ।
একইসঙ্গে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসন কর্মীদের এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাহিনীকেও সতর্ক রাখা হয়েছে। বিদেশগামী যাত্রীদের তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (৯ এপ্রিল) রাতে পাকিস্তানের সংসদ অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। ভোটে ৩৪২ জন সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জন সদস্য ইমরান খানের প্রতি অনাস্থা ভোট দেন। এর মাধ্যমে দেশটির ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হলো। একইসঙ্গে পাকিস্তানের নির্বাচিত একজন প্রধানমন্ত্রীও এখন পর্যন্ত মেয়াদ পূর্ণ করতে পারলেন না।
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব নাকচ করে দেন ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এরপরই ইমরান খানের পরামর্শে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।এরপর বিষয়টি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে যায়। টানা ৫ দিন শুনানির পর বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) আদালত অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের আদেশ ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেন এবং শনিবার সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেন।