মোঃহারুন অর রশিদ ,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ও প্রয়াত সাবেক উপজেলা নেতৃবৃন্দের স্মরণে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সরকার লেবুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও এমপি লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতি, সাজেদুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গোলাম কবির মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও এমপি লিটনের একমাত্র সন্তান সাকিব সাদনান রাতিন, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা মুরাদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসানুল করিম চঁাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক উদয় নারায়ণ সরকার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আশিকুজ্জামান প্রামাণিক তুহিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমীন প্রামাণিক, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক সুমন মিয়া প্রমূখ।
এসময় বক্তারা এমপি লিটন হত্যাকারীদের ফঁাসির আদেশ দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের মাস্টার পাড়ার নিজ বাড়িতে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। দুর্বৃত্ত এ ঘটনায় অজ্ঞাত পঁাচ-ছয়জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী।
এমপি লিটন হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল মূল পরিকল্পনাকারী জাতীয় পার্টি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল কাদের খানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ আলোচিত হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। মামলার বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জন আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
চা ল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর ঘোষণা করেন গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক।
রায়ে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খানসহ সাত আসামির সবার ফঁাসির দণ্ড দেন। তাদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. আবদুল কাদের গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে লিটনের আগে সংসদ সদস্য ছিলেন। অন্যরা তার ঘনিষ্ঠ লোকজন।
তারা হলেন, ডা. কাদেরের একান্ত সহকারী মো. শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক আবদুল হান্নান, গৃহকর্মী মেহেদি হাসান, দূর সম্পর্কের ভাগ্নে ও বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শাহীন মিয়া, সাবেক পোশাক শ্রমিক আনোয়ারুল ইসলাম রানা ও আ,লীগ নেতা চন্দন কুমার রায়। মামলা চলাকালে এক আসামি কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা যান। আর এক আসামি আথলীগ নেতা চন্দন কুমার পালিয়ে আত্নগোপনে ছিলেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত আট আসামির মধ্যে ছয়জন উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ১১ সেপ্টেম্বর সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরার ভোমরা এলাকায় র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে মৃত্যুদণ্ডের আসামি চন্দন কুমার রায়।