সদ্যই ইংল্যান্ড টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন বেন স্টোকস। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে দায়িত্ব পেয়ে এবার ওয়ানডে ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণা দিলেন বিশ্বকাপজয়ী ইংলিশ অলরাউন্ডার।
আগামীকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়াবেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১০৪ ওয়ানডে খেলা এই ক্রিকেটার ঘরের মাঠ ডারহাম থেকেই বিদায় নেবেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিদ্ধান্তটা আমার জন্য কঠিন ছিল। ইংল্যান্ডের জার্সিতে সতীর্থদের সঙ্গে প্রতিটি মিনিটের খেলা আমি উপভোগ করেছি। আমরা দারুণ একটা সফর করেছি। ‘
অবসর নেওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে স্টোকস বলেন, ‘আমি ভেবে দেখেছি, এই ফরম্যাটে আমি শতভাগ দিতে পারছিলাম না। ইংল্যান্ডের জার্সিতে এর চেয়ে বেশি প্রত্যাশা থাকে। তিন ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া আমার জন্য কঠিন। শুধু যে আমার শরীর সায় দিচ্ছে না তা নয়, বরং ব্যস্ত সূচি এবং আমাদের কাছে যে প্রত্যাশা তা পূরণ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি, আমার জায়গায় অন্য কেউ খেলতে পারে যে কিনা জস বাটলার ও তার দলকে সেরাটা দিতে পারবে। এখন সময় এসেছে অন্য কারও জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়ার। ‘
৩১ বছর বয়সী স্টোকসের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্ত ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল। লর্ডসের ওই ম্যাচে দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে অপরাজিত ৮৪ রান করেছিলেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতার পেছনে তার ভূমিকা তাই স্মরণীয় হয়ে থাকবে সমর্থকদের মাঝে।
২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল স্টোকসের। এই ফরম্যাটে ২৯১০ রান করেছেন তিনি। হাঁকিয়েছেন ৩টি সেঞ্চুরি; আছে ৭৪ উইকেটও। গত গ্রীষ্মে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জেতা সিরিজে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। এরপর টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর ভারতের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।